মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি বিয়ে। এটা নিশ্চিতভাবেই আপনার জীবন বদলে দেবে। কিন্তু সেই বদলটা ইতিবাচক হবে কি না, সেটা নির্ভর করে কাজটা কতটা সার্থকভাবে করতে পারলেন তার ওপর। ঠিকঠাকভাবে করতে পারলে সেটা আপনার জন্য হবে আশীর্বাদ। কিন্তু হিসেবে গড়মিল হলেই হবে হিতে বিপরীত। তা যেন না হয়, সে জন্য বিয়ের আগে নিয়ে রাখুন এই পাঁচ মানসিক প্রস্তুতি।
বিয়ে করার সময় সবার মনোযোগ থাকে আনুষ্ঠানিকতার রোশনাই আর আয়োজনের আতিশয্য নিয়ে। বিয়ের অনুষ্ঠান কোথায় হবে, গায়ে হলুদে কোন কোন গানে নাচা হবে, বউভাতে খাবারের কী কী আয়োজন হবে—এ নিয়েই চলে সব ভাবনা। কিন্তু এর চেয়েও জরুরি দাম্পত্যজীবনের পরিকল্পনা করা। আপনারা কোথায় থাকবেন, অর্থ উপার্জন কে কীভাবে করবেন, সেগুলো কীভাবে ব্যয় করবেন, সঞ্চয় কেমন করবেন, সন্তান কবে বা কতজন নেবেন, বিয়ের আগেই এসব পরিকল্পনা সেরে নিন।ছবি: পেক্সেলসডটকম
বিয়ে নিয়ে সবারই নানা পরিকল্পনা থাকে, তা বিয়ের আয়োজন নিয়ে ও বিয়ে–পরবর্তী নতুন জীবন নিয়ে। সেসব নিয়ে আপনার মা-বাবারও নির্ঘাত পরিকল্পনা আছে। অন্য আত্মীয়স্বজনদেরও থাকতে পারে। তবে আপনার মা–বাবার চিন্তার সঙ্গে আপনার জীবন সরাসরি সম্পৃক্ত। কাজেই সেগুলো নিয়ে আগে থেকেই আলাপ সেরে নিন। বের করুন, আপনাদের ও দুজনের মা–বাবার চিন্তায় কতটা মিল আর কতটা ফারাক। আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো আগে থেকেই সেরে নিন।
আপনি কি প্রণয় থেকে পরিণয় করছেন? নাকি ঘটকালিতে বিয়ে? মানে দুজন দুজনকে কত দিন ধরে চেনেন? বেশি দিন না হলে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া নিয়ে আরও কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এ নিয়ে দুজনে আলোচনা করুন। যেন ভবিষ্যতে ভুল বোঝাবুঝির পরিমাণ কম হয়। দাম্পত্যে সমস্যা বা ঝগড়া হবেই, সেগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখুন।
দাম্পত্য সমস্যা সমাধানে আগে থেকে কেবল আলোচনা করলেই ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সে জন্য জেনে নিন আপনাদের সম্পর্কের সীমারেখা। পরস্পরের জন্য কিছু নিয়ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। মানে পরস্পরকে নিজেদের সবল ও দুর্বল দিকগুলো জানিয়ে সে সম্পর্কে সাবধান করে দিন। পরিষ্কার করে রাখুন, কার কোন প্রবণতা আছে। কে মানসিক চাপে কী করতে পারেন। কার কোন বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে না। আর কোন কোন কাজ করা যাবে না।
সফল দাম্পত্যজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো পরস্পরকে জানা। যখন আপনারা দুজনেই এ ব্যাপারে সফল হবেন, মানে পরস্পরকে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন, তখনই দেখবেন আপনাদের দাম্পত্য সমস্যাগুলো এমনিতেই সমাধান হয়ে যাচ্ছে। যৌথজীবন আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনকে আরও সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলছে। কাজেই এ ব্যাপারে দুজনেই বিয়ের আগে থেকেই সচেষ্ট হোন।