কথায় আছে, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। সবাইকেই কমবেশি মুহূর্তের এই আবেগ, অনুভূতির কাছে হার মানতে হয়। আর ঝগড়ার সময় মেজাজ হারানোই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঝগড়ার সময়েই মেজাজ রাখতে হয় শান্ত। ধীরে সুস্থে খুঁজতে হয় সমস্যার সমাধান। নাহলে শুধু কথায় কথা বাড়বে, সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। জেনে নিন কীভাবে ঝগড়ার সময় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন।
সবচেয়ে জরুরি কথা শোনা
কমবেশি প্রতিবার ঝগড়ার মূলে থাকে দুই পক্ষের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগের অভাব। মনোযোগ ও ধৈর্য ধরে অপরের কথা শুনলে সহজেই অনেক ঝগড়ার সমাধান করা সম্ভব। ঝগড়ার সময় সবাই বেশ আবেগতাড়িত থাকেন। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকেই নিজেদের মনের কথা ঝগড়ার সুরে হলেও খুলে বলেন। তাই ঝগড়ার সময় অন্তত অপর পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দিন। প্রয়োজনে নিজের অবস্থানও খুলে বলুন। ফলে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান বুঝতে সমর্থ হবে।
বলার আগে ভেবে নিন
কথায় আছে, বন্দুকের গুলি আর মুখের বুলি একবার বেরিয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আর ঝগড়ার সময় প্রতিটি শব্দের মূল্য বেড়ে যায় বহুগুণ। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম শব্দের আঘাত মনে লেগে থাকে অনেক দিন। যে কারণে ঝগড়ার সময়ে শব্দচয়নের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কী বলবেন, কী বলবেন না, ভেবে কথা বলুন। কারণ, আপনার একটি শব্দই বহু বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিরতি নিন
ঝগড়ার সময়ে প্রত্যেকের মনই বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। অশান্ত মনে স্বাভাবিকভাবে একে অপরের কথা শোনা কিংবা বোঝা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তাই ঝগড়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে শান্ত করুন। বড় বড় শ্বাস নিন, নিজেকেই নিজে শান্ত করার চেষ্টা করুন। এতে করে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত বাক্যব্যয় থেকে দূরে থাকা যায়, তেমনই শান্তভাবে বসে অপর পক্ষের কথাও বোঝা যায়।
জয় নয়, সমাধান খুঁজুন
অনেকেই ঝগড়া করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যান যে তাঁদের কাছে ঝগড়ার সমাধান নয়, বরং জয়টাই মুখ্য হয়ে ওঠে। নিজের অবস্থান বোঝানোর চেয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে ঝগড়ায় নিজের জয়। এতে করে কথায় কথায় কথা বেড়ে শুধু সময়ের অপচয়ই হয়, কোনো সমাধান আর আসে না। তাই মাথা ঠান্ডা করে সমাধান খুঁজুন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া