মেহেদি নয়, কেন বিয়েতে আলতা পরেছিলেন সোনাক্ষী

বলিউডের নতুন ‘লাভবার্ড’ সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল। বিয়ের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে উঠে আসছে তাঁদের রসায়নের নানান রং ও ইতিহাস। ইউটিউবে এই জুটির বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের নিচে ভক্তদের মন্তব্য চোখে পড়ার মতো। ছবি দেখতে দেখতে জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।

ঠিক সাত বছর প্রেম করার পর ২৩ জুন বিয়ে করেন সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল। বিয়েতে মায়ের পুরোনো একটি শাড়ি পরেন সোনাক্ষী।
ছবি: সোনাক্ষী সিনহার ইনস্টাগ্রাম থেকে
বিয়েতে সোনাক্ষীর যমজ দুই ভাই লাভ সিনহা ও কুশ সিনহার কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বিয়েতে সোনাক্ষীর মা–বাবা কারও মত না থাকলেও শেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা।
সোনাক্ষী বলেন, ‘পাঁচ মিনিটে আমি আমার বিয়ের শাড়ি আর গয়না পছন্দ করেছি। সব সময় একটি সাদামাটা বিয়ে চেয়েছি। দেড় বছর ধরে বানানো ভারী, জমকালো ডিজাইনারস লেহেঙ্গা চাইনি।’
সোনাক্ষী বলেন, ‘বিয়ের আগে এত লুকে এতবার বউ সেজেছি যে সত্যিকারের বউ হওয়ার সময় সাধারণ ও ছিমছামভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করতে চেয়েছি।’ নিজের ফ্যাশন সেন্স নিয়ে সোনাক্ষী জানান, কেবল দুই জোড়া জিনস আর কয়েকটা টপস দিয়েই তিনি দিব্যি সারা বছর কাটিয়ে দিতে পারেন। 
সোনাক্ষী ভারতীয় বিনোদন সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের বিয়েতে আট হাজার লোকসমাগম হয়েছিল। তিনি নিজের বিয়েতে এমন কিছু চাননি।
সোনাক্ষী বিয়ের কোনো আয়োজনে হাতে মেহেদি পরেননি। তিনি নাকি হাতে মেহেদি দিয়ে তিন ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকার মানুষ নন। সোনাক্ষী বলেন, ‘তিন ঘণ্টা আমি মুঠোফোন ধরতে পারব না, এটা কোনো কথা?’
জহির ইকবালেরও নাকি মেহেদির ঘ্রাণ পছন্দ নয়! জহিরই সোনাক্ষীকে মেহেদীর বদলে আলতা পরতে বলেছিলেন।
‘হীরামন্ডি’ ওয়েব সিরিজে সোনাক্ষী অভিনীত ফারিদান চরিত্রটিকে আলতা পরতে দেখা গেছে। বিয়েতেও মাত্র পাঁচ মিনিটে আলতা পরেন সোনাক্ষী।
জহির জানান, সোনাক্ষী নাকি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে সর্বোচ্চ আধঘণ্টা সময় নেন। জহিরের সময় লাগে তারচেয়ে বেশি।
সোনাক্ষীই জহিরকে প্রথম ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলেন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সোনাক্ষী জহিরকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ অন্যদিকে জহির বলেছিলেন, ‘আমাদের আরও সময় নেওয়া উচিত।’
সোনাক্ষী–জহির দুজনই ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসেন। বিয়ের পরও আগের মতোই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জানালেন বিয়ের পর কিছুই বদলায়নি। তবে এখন প্রকাশ্যে হাত ধরে হাঁটতে পারছেন। কেউ দেখে ফেলল কি না, ভাবতে হচ্ছে না—এটুকুই যা পার্থক্য! এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেমন্তন্ন রক্ষা করা।