পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনার
পয়লা বৈশাখের মেলায় তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম। অনেক মানুষের ভিড়ে একটা ছেলে বাঁশি বাজাচ্ছে, কী দারুণ! বাঁশি যে আসলেই ডাকাতিয়া হয়, এর আগে বিশ্বাস করিনি। মূলত তোমার সুরে পাগল হয়েই আলাপ করতে গিয়েছিলাম। আষাঢ়ের শেষে এসে সেই পরিচয় পেল নতুন রূপ। ভালোবেসে প্রেমিক-প্রেমিকা হলাম। এই বৈশাখে তোমাকে তাই একটি বিশেষ উপহার দেওয়ার আছে আমার। বাড়িতে বলেছি। উত্তর কী পেলাম, সেটা না হয় দেখা হলেই বলব। হ্যাপি অ্যানিভার্সারি প্রিয়। এবার বৈশাখেও তোমার বাঁশি শুনতে চাই।
মরিয়ম সুলতানা, কুড়িগ্রাম
সুনিয়ন্ত্রিত অনুভূতি
সেদিন ক্লাস শেষে কলেজের বাসের একদম পেছনের সিটে বসেছিলাম। আর আপনি ছিলেন আমার ঠিক তিন সারি সামনে, জানালার পাশে। বেওয়ারিশ বাতাসে আপনার গোছানো চুলগুলো ছন্নছাড়া হয়ে খেলছিল। আপনি সেগুলোকে কড়া শাসন করে কানের পিঠে গুঁজে নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরপর মুখের মাস্কটি খুলছিলেন। এই সামান্য বিষয়গুলোও যে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে, আগে কি জানতাম! এই সময়ে নামহীন এক আশ্চর্য অনুভূতি হচ্ছিল আমার।
একই স্টপেজে নেমেও সেদিন আপনার কাছে যেতে পারিনি। এভাবে দূর থেকেই সারাক্ষণ আপনাকে দেখি। কখনো দুই চোখে, কখনো তৃতীয় নয়নে। তবে কোনো দিন কাছে গিয়ে কথা বলার সাহস হয়নি। এক অদৃশ্য বাধা কাজ করে। এই বাধার কারণেই আপনার সঙ্গে বন্ধুত্বটাও হলো না। আমরা প্রজাতি হিসেবে দুজনই হোমো-সেপিয়েন্স হলেও আমাদের জাত আলাদা, আলাদা ধর্ম!
জানেন, শুধু আপনার জন্য আমি চাকমা ভাষাও শিখেছিলাম...।
তাশদিদ তোহা, ঢাকা
একদিন দেখা হবে, জানি
প্রিয় লামিয়া, হয়তো বাস্তবে কখনো তোর ওই দুই চোখে চোখ রেখে কথা বলা হয়নি। তবে সেটা কখনোই আমাদের বন্ধুত্বকে ছোট করতে পারে না। সব তুলনার ঊর্ধ্বে তুই। কিন্তু তা–ও অনলাইনের কাচের দেয়ালের জগৎ ভেঙে তোকে বাস্তবে দেখার জন্য কাতর হয়ে ওঠে মন। একদিন সত্যিই হয়তো একগুচ্ছ অর্কিড ফুল নিয়ে তোর সামনে হঠাৎ দাঁড়াব। তোর কালো কেশের আলগা খোঁপার বাঁধনে কাঠগোলাপ পরিয়ে দেব। সারা জীবন এভাবেই ছায়ামানবী হয়ে পাশে থাকিস।
শাফিন, নড়াইল
আজও মনে পড়ে
আজও প্রতি ক্ষণে ক্ষণে তোমায় মনে পড়ে। আজ আমার জীবনে অনেক কিছু আছে, তবু মনে হয় কী যেন নেই। আমার এই হৃদয়জুড়ে আজ অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে আছে, তোমাকে না পাওয়ার শূন্যতা। তোমার ফেলে যাওয়া স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে নিঃস্ব হয়ে আজও একা বেঁচে আছি। বিধাতার কাছে আমার একটাই চাওয়া, জীবনের শেষবেলায় যেন তোমার দেখা পাই। এক জীবনে তোমাকে না পেলে যে কিছুই অর্জন থাকবে না আমার।
লুৎফর রহমান, সারিয়াকান্দি, বগুড়া
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’