চার অভ্যাসে সুখের দাম্পত্য

ছোট ছোট অভ্যাসের চর্চা ভালো রাখে দাম্পত্য। মডেল: রাকিবা ও নীল
ছবি: সুমন ইউসুফ

টিকঠাক যত্ন সংসারজীবনকে স্থায়ী করে তোলে। তাই নিয়মিত কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা তাকে আরও কাছে আনতে সাহায্য করে। সংসারজীবন কখনো সরলরেখায় চলে না। সুখের পাশাপাশি অসুখও দেখা দিতে পারে সম্পর্কে। ঠিকঠাক দাওয়াই দিলে সেটাও সারিয়ে তোলা সহজ হয়। সংসারে একজনের প্রতি আরেকজনের ছোট ছোট যত্ন অনেক সময় বড় ধরনের বিপর্যয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। ভালোবাসার ছায়াতলে সুখকর হয়ে বেড়ে ওঠে দাম্পত্য। এখানে তেমনই চারটি অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা আপনার দাম্পত্যকে সুখকর ও শক্তিশালী করবে।

১ যোগাযোগ কারণে-অকারণে

বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত সব বিষয়ে কথা বলুন। কারণ, যোগাযোগ একটি চমৎকার মাধ্যম, যা দাম্পত্যকে সুখের করে। আপনার জীবনের প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনা, প্রতিদিনকার কথা একজন আরেকজনের কাছে বলুন। অফিসে সহকর্মীদের কাছ থেকে কোনো মজার ঘটনা শুনলে সেটাও আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সহজ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আপনার সুখের কথা যেমন সঙ্গীর সঙ্গে বলবেন, নিজে কোনো বিষয় নিয়ে মন খারাপ থাকলে বা চাপে থাকলে সেটাও তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিন। এতে দুজনের বোঝাপড়া পোক্ত হবে, জীবন থাকবে ফুরফুরে।

২ ঘনিষ্ঠতাকে গুরুত্ব দিন

সঙ্গীর সঙ্গে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা নিয়েও বোঝাপড়া থাকা জরুরি। মানসিকভাবে আপনার সঙ্গে সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা বাড়লেই দুজনের চাহিদা বোঝা সহজ হবে। ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনা করার আগে আপনার দিক থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করুন যে এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য আপনি তৈরি। যাতে সেও নিজের জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারে। জুটি মজবুত করতে দুজনের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও থাকা দরকার যথাযথ। এটি আপনার সঙ্গীকে ঠিকঠাক বুঝতে সাহায্য করবে এবং দুজনের মধ্যে একটি সহজ সংযোগ তৈরি হবে। প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ও চাহিদা আলাদা আলাদা হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে সেই দাম্পত্যে সুখের অভাব হবে না।

সংসার সুখের হয় দুজনের গুণে। মডেল: জারা ও শুভ

৩ ভালো শ্রোতা হতে শিখুন

কথা তো দুজনেই বলবেন, তবে অন্যের কথা শোনার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। নিজে কথা বলার সময় আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে আপনি যতটুকু মনোযোগ আশা করেন, তারচেয়ে বেশি মনযোগী হতে হবে সঙ্গীর কথা শোনার সময়। কোনো কাজ করতে করতে বা মোবাইল ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে সঙ্গীর কথা শোনা যাবে না। এতে তিনি বিরক্ত হয়ে কথা বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। দুজনের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝিও তৈরি হতে পারে। কথা বলার ক্ষেত্রে কেউ যদি মজা করে বলতে পারেন তাহলে অন্যজনকে সহজেই তা আকর্ষণ করে। তবে সঙ্গী যদি গুছিয়ে কথা না–ও বলতে পারেন, তারপরও তাঁর কথা শুনুন, মতামত দিন। এতে তিনি নিজেকে আলাদা মনে করবেন না। আপনি যদি সঙ্গীর কথা না শোনেন, সে নিজেকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে শুরু করবে, যা সংসারে দূরত্ব তৈরি করে।

৪ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

সঙ্গীর যেকোনো বিষয়ে অবজ্ঞা করা বা সম্মত না হওয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব খারাপ। তাই যেকোনো বিষয়ে সঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখুন। সঙ্গীর কোনো উপহার, রান্না, সহযোগিতা বা ছোট যেকোনো বিষয় নিয়েও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ধন্যবাদ দিন তাঁকে। এতে তিনি খুশি হবেন।

সূত্র: ফেমিনা