রেসিপি

নিহারির রেসিপি জানেন কি?

নিহারি পছন্দ করেন অনেকেই। রুটি, নান বা পরোটার সঙ্গে সকালের নাশতায় অথবা রাতে খাওয়া হয় সাধারনত। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা নাজনীন

নিহারি

উপকরণ: গরু অথবা খাসির পায়ের নিচের অংশ ২ কেজি, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আস্ত রসুনের কোয়া আধা কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ৫-৬টি, তেজপাতা ২-৩টি, ছোট এলাচি ৪-৫টি, বড় এলাচি ২টি, স্টার মসলা ২টি, লবঙ্গ ৪-৫টি, দারুচিনি ২-৩ টুকরা, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচগুঁড়া ২০টি, পাউরুটি ২ টুকরা, পোস্তবাটা ১ টেবিল চামচ, বাদামবাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ।

বাগারের উপকরণ: তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ৪-৫টি, আদাকুচি ১ চা-চামচ, গরমমসলা আধা চা-চামচ, ভাজা জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ।

প্রণালি: গরুর/খাসির পায়ের টুকরা প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন। চুলার ওপর প্রেশার কুকার বসিয়ে তাতে পোস্তবাটা ও বাদামবাটা বাদে বাকি সব মসলা একে একে দিয়ে দিন। ৬ কাপ পানি দিন। চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিন। জ্বাল বাড়িয়ে খাসির পা হলে আধা ঘণ্টা আর গরুর হলে ১ ঘণ্টা চুলায় রাখুন। পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশ ফেলে পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে চিপে পানি ফেলে নিন। ১ ঘণ্টা পর প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলে আরেকটি ছড়ানো পাত্রে ঢালুন মসলাসহ পায়াগুলো। পাত্রটি চুলায় দিয়ে পোস্তবাটা ও বাদামবাটা দিন। পেঁয়াজ গলে যাওয়ার আগপর্যন্ত ভালো করে কষান। চুলার জ্বাল চড়া আঁচে থাকবে। কিছুক্ষণ পর ২ কাপ পানি দিন। পানিতে ভেজানো নরম পাউরুটি আধা কাপ পানি দিয়ে পেস্ট করুন। অল্প অল্প করে দিয়ে দিন হাঁড়িতে। আরও ৫ মিনিট রান্না করে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। আরেকটি প্যানে বাগারের জন্য তেল দিন। পেঁয়াজকুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজের রং স্বচ্ছ হয়ে এলে রসুনকুচি দিন। ভালো করে নাড়ুন। আদাকুচি ও শুকনা মরিচ দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা হয়ে গেলে ২ চা-চামচ নিহারির ঝোল দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাকি নিহারিটুকু ঢেলে দিন। বলক উঠলে গরমমসলার গুঁড়া ও জিরাগুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। চুলার আঁচ কমাবেন না। ৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে অপেক্ষা করুন মিনিট পাঁচেক। নেড়ে পরিবেশনের পাত্রে ঢালুন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ধনেপাতাকুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন নিহারি।