খাবারের ছবি যেভাবে তুললে ফেসবুকে লাইক বেশি পাবেন

ফুড ফটোগ্রাফির জন্য দিনের আলো সবচেয়ে ভালো কাজ করে। বাসি বা পুরোনো খাবারের ছবি না তোলাই ভালো। রান্নার পর আগে দেখুন, একটু সময় নিন, ভাবুন। তারপর ছবি তুলুন।

খাবারটির সঙ্গে যাবে আনুষঙ্গিক এমন কিছু সঙ্গে রাখুন

নিজের হাতে রান্না করার আনন্দই আলাদা। এই আনন্দ অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ছবি তুলে অনেকে সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেন। সত্য বটে খাবারের স্বাদ ছবিতে পাওয়া যায় না। তবে ছবি তোলাটা যদি ভালো হয়, তবে স্বাদের কিছুটা হলেও আন্দাজ পাওয়া যায়। ছবি তোলার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সাধারণ খাবারকেও দেখতে লাগবে অসাধারণ।

১. ছবি তোলার সবচেয়ে উপযুক্ত দিক বা অ্যাঙ্গেলটি বাছাই করুন। প্রচলিত অ্যাঙ্গেল মেনেই ছবি তুলতে হবে, এমন নিয়ম নেই। কয়েকটি দিক থেকে ক্যামেরা ধরে দেখুন। একেক দিকের ছবির লুক একেক রকম হবে। যেভাবে আপনার চোখে খাবারটাকে সবচেয়ে লোভনীয় লাগছে, সেই দিক থেকে ছবি তুলুন।

ছবি তোলার সবচেয়ে উপযুক্ত দিক বা অ্যাঙ্গেলটি বাছাই করুন।

২. বাসি বা পুরোনো খাবারের ছবি না তোলাই ভালো। খেয়াল করলে দেখবেন সতেজ শাকসবজি এবং সদ্য রান্না করা তরকারির রং কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর হয়। চেষ্টা থাকা উচিত সতেজ শাকসবজি এবং তৎক্ষণাৎ রান্না করা খাবারের ছবি যেন তোলা যায়।

৩. প্রতিটি খাবারের ছবির সঙ্গে সেই খাবারটির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে পারলে ভালো। নিদেন ক্যাপশন।

৪. রান্নার পর আগে দেখুন, একটু সময় নিন, ভাবুন। খাবারটি কেমন, মূল খাবার নাকি মিষ্টান্ন, নাকি স্ন্যাক্স। দিনের বা বছরের কোন সময়ে খাবারটি খাওয়া হয়ে থাকে! খাবারটির সঙ্গে আনুষঙ্গিক আর কী কী খাবার থাকতে পারে! এসব ভেবে নিয়ে কাজ শুরু করলে কম্পোজিশন করতে অনেক সুবিধা হয়।

মূল খাবারে ফোকাস করতে হবে
অনেক খাবার আছে, যা আমাদের আবেগের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত

৫. খাবারের ছবির ক্ষেত্রে আবেগটিও তুলে ধরার চেষ্টা করুন। যেমন দুধ চা, মালাই চা, ইলিশ, কাঁঠাল, আম, কাচ্চি বিরিয়ানির মতো আরও অনেক খাবার আছে, যা আমাদের আবেগের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। অনেক শাকসবজি ও মাছ ছোটবেলা থেকে দেখে এবং খেয়ে বড় হয়েছি। এসব খাবারের ছবি দেখলেই মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। এসব খাবারে ছবিগুলোতে লাইকও পড়ে বেশি।

৬. যেকোনো ছবি তোলার ক্ষেত্রেই লাইটিং বড় একটি বিষয়। ফুড ফটোগ্রাফির জন্য দিনের আলো সবচেয়ে ভালো কাজ করে। অকৃত্রিম আলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে ভালো। খাবারের ছবিতে ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ছবিতে আমরা কটকটে লাইট তখনই ব্যবহার করব, যখন ছবিতে ছায়ার দরকার হবে। না হলে নরম আলোর ভেতরে ছবি তুলতে হবে।

অকৃত্রিম আলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে ভালো।

৭. ছবিতে ফোকাস কোথায় রাখতে হবে, সেটা বুঝে নিন ক্লিক করার আগে। মূল খাবারে ফোকাস না করে আশপাশে ফোকাস করলে ভুল হবে। আমরা ঠিক কি দেখাতে চাচ্ছি এবং ঠিক কতটুকু দেখালে ছবিটি দেখতে ভালো লাগবে, সেটাও বুঝতে হবে।

৮. একাধিক দিক ও উচ্চতা থেকে ছবি তোলা ভালো। এভাবে বেশ কয়েকটি শট নিয়ে দেখতে পারেন। পরে ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোটা খুঁজে বের করুন।

৯. ক্রপিং জরুরি। অনেক সময় সাধারণ একটা শট থেকে শুধু ক্রপ করে দারুণ কিছু বের করে ফেলা সম্ভব।

১০. ফ্রেমের ভেতরে অতিরিক্ত আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম না রাখাই ভালো।