কুমড়ো ফুল ও শাকে একটু ভিন্ন স্বাদ

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল, দুই বাংলায় সাড়া জাগিয়েছে এই উপন্যাস। নকশার জন্য এই বইটি থেকে কয়েকটি রেসিপি তৈরি করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম কলকাতার ফুড ফরিস্তা চ্যানেলের স্বত্বাধিকারী শর্মিলা বসু ঠাকুরকে। সেই উদ্দেশ্যেই লেখক কল্লোল লাহিড়ীর সঙ্গে একদিন আলাপচারিতায় বসেছিলেন তিনি। গল্পচ্ছলে জেনে ছিলেন বইটির রেসিপিগুলোর অজানা তথ্য। বইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী ইন্দুবালার বিশেষ কিছু রেসিপি পাঠকদের জন্য রাঁধলেন শর্মিলা বসু ঠাকুর।

কুমড়ো ফুলের মিঠে বড়া

একেকটি ফুল মিশ্রণে ডুবিয়ে অল্প আঁচে চেপে চেপে ভাজুন।
ছবি: ফুড ফরিস্তা

উপকরণ: কুমড়ো ফুল ১০টি, চালগুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, চিনি আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পোস্ত দানা আধা চা-চামচ, সর্ষের তেল ২-৩ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রণালি: কুমড়ো ফুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। চালগুঁড়া, চিনি, বেসন, লবণ ও ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি দিয়ে মাঝারি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। লোহার কড়াইতে বাকি তেল দিয়ে নিন। একেকটি ফুল মিশ্রণে ডুবিয়ে অল্প আঁচে চেপে চেপে ভাজুন। কম তেলে ভাঁজতে হবে। আধা ভাজা অবস্থায় পোস্ত ছড়িয়ে দেবেন। চাইলে মিশ্রণটি বানানোর সময় প্রথমেই দিয়ে দিতে পারেন। সেঁকা সেঁকা হবে এই মিঠে বড়া।

কুমড়ো শাক

শাক থেকে জল বের হলে, সর্ষে বাটায় বেশ কিছুটা পানি দিয়ে গুলে নিন

উপকরণ: কুমড়ো শাক ১ আঁটি, সর্ষে ৩ টেবিল চামচ, পাকা কাঁচা মরিচ ৪-৫টা, লবণ স্বাদমতো, চিনি খুব সামান্য, সর্ষের তেল ৫ টেবিল চামচ, পানি সামান্য।

প্রণালি: শাক ভালো করে ধুয়ে নিন। কুচিয়ে নিন। কড়াইতে ৪ টেবিল চামচ তেল দিন। গরম হলে শাক দিন। সামান্য লবণ দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢেকে দিন। সরষে, লবণ, কাঁচা মরিচ একসঙ্গে বেটে নিন। খুব মিহি বাটা হবে না। শাক থেকে জল বের হলে, সর্ষে বাটায় বেশ কিছুটা পানি দিয়ে গুলে নিন। ছেঁকে শাকের ওপর দিন। চিনি দিন। ভালো করে নেড়ে চেড়ে ঢেকে দিন। মাখা মাখা হলে বাকি কাঁচা তেল ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।