বাদাম, ডার্ক চকলেট, মাছের তেল, মাছ-মাংসের হাড়, ব্রোকলি, ফুলকপি, ডিম, ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো, কফি, মিষ্টিকুমড়ার বীজ, গ্রিন টি, পালংশাক, টাটকা শাকসবজি, কমলা, লাল চাল, চা, কফি—মস্তিষ্কের জন্য ভালো এমন খাবারের তালিকা নেহায়েত ছোট নয়। আবার এমন সব খাবার আছে, যেগুলো মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এমনই পাঁচ খাবারের কথা জেনে নেওয়া যাক।
১. ভাজা খাবার খেতে কার না ভালো লাগে! চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই—এগুলো নাগরিক জীবনের জনপ্রিয়তম স্ন্যাকস। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব ভাজাপোড়া খাবার মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে। শুধু তা–ই নয়, মস্তিষ্কে টিস্যুর সাইজ কমিয়ে এর যে অংশ জ্ঞানীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেই অংশের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই আপনার বাচ্চাকে যদি অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়ান, বুঝবেন, ওর ‘হাবাগোবা’ হওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার।
২. আপনি ইতিমধ্যে জানেন যে সফট ড্রিংকস বা কোমল পানীয় শরীর আর মস্তিষ্ক উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আপনি কি জানেন, ফলের জুস, এনার্জি ড্রিংক, চিনিযুক্ত চা/কফি এমনকি চিনিযুক্ত যেকোনো কিছুই মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন চিনি মস্তিষ্কের শত্রু। এ জন্য চিনি আর লবণকে বলা হয় ‘সাদা বিষ’। চিনি স্মৃতিশক্তি ও শিখনক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ভাবছেন ডায়েট সোডা খাওয়া ভালো। বিশ্বাস করুন, ওটা আরও ক্ষতিকর। ডায়েট সোডা স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. সাদা আটা, সাদা পাউরুটি, সাদা পাস্তা—এগুলো উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেস্কযুক্ত খাবার। অর্থাৎ এগুলো খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শুধু তা–ই নয়, এই প্রক্রিয়াজাত শর্করা খাবারগুলো মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর। যাঁদের মেনোপজ চলে অর্থাৎ মাসিক স্থায়ীভাবে প্রাকৃতিকভাবে বয়সজনিত কারণে বন্ধ হয়ে গেছে, এই খাবারগুলো এমন নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা বাড়ায়। বরং সুপারশপে গিয়ে লাল চাল, লাল আটা—এগুলো তুলে নিন।
৪. দিন দিন বাড়ছে বাজার থেকে প্রক্রিয়াজাত মাংসের নানা খাবার কিনে খাওয়ার প্রবণতা। সেই তালিকার ওপরের দিকে রয়েছে হিমায়িত চিকেন সমুচা, নাগেটস ইত্যাদি। অতিথি এলে আমরা ঝটপট নাশতার জন্য হাত বাড়াই এমন সব খাবারের দিকে। অথচ প্রক্রিয়াজাত যেকোনো মাংস কেবল শরীরের জন্যই ক্ষতিকর নয়, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর জন্যও দায়ী।
৫. আমরা রেস্তোরাঁর ফাস্টফুড খেতে কতই না ভালোবাসি। অথচ পিৎজা, বার্গার, পাস্তা—যা-ই বলুন না কেন, এগুলো উচ্চ ফ্যাট ও লবণযুক্ত খাবার। ফলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটে আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ব্রেইন ফগের সৃষ্টি হয়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা ও সৃজনশীল কাজ করা কঠিন হয়ে যায়।