ঈদের দিন দুপুরে বা রাতে আর যা–ই রান্না করুন, পোলাও, কোর্মা আর সেমাই রাখতেই হয়, না হলে কেমন যেন অসম্পূর্ণ লাগে মেনু। রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা বেগম
উপকরণ: মুরগির মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, এলাচ ৩-৪টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, তেল বা ঘি ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ টেবিল চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি, টক দই আধা কাপ।
প্রণালি: ঘিতে পেঁয়াজ ও সব বাটা মসলা কষিয়ে টুকরা করা মুরগির মাংস দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট নেড়ে ফেটানো টক দই দিন। ১৫ মিনিট পর বাকি উপকরণগুলো দিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ ও বেরেস্তা দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, ঘি ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, এলাচ ৩-৪টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ৩-৪টি, তেজপাতা ২টি, বেরেস্তার জন্য পেঁয়াজ আধা কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, গরম পানি ৭ কাপ, জাফরান বা খাবারের রং (ঐচ্ছিক) সামান্য।
প্রণালি: ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে নিন। ঘি দিয়ে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ ভেজে নিন। এতে গরমমসলা, আদাবাটা, রসুনবাটা দিয়ে সামান্য ভাজুন। পোলাওয়ের চাল দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়তে থাকুন। এবার লবণ ও গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রাখুন। পানি শুকিয়ে এলে ঢাকনা তুলে পোলাও নেড়ে দিন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে আরও ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। জাফরান গোলানো পানি অথবা খাবার রং দিতে চাইলে দিতে পারেন, ১০ মিনিট পর পোলাওয়ের ওপর বেরেস্তা ছড়িয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।
উপকরণ: লাল সেমাই ১ প্যাকেট, তরল দুধ ১ লিটার, পাউডার দুধ ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা-চামচ, দারুচিনি ২ টুকরা, কিশমিশকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঠবাদামকুচি ১ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ (স্বাদমতো)।
প্রণালি: ঘি দিয়ে কিশমিশ ও বাদাম ভেজে নেবেন। তরল দুধের সঙ্গে পাউডার দুধ, চিনি, দারুচিনি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। লাল সেমাই দিয়ে নাড়ুন। সেমাই সেদ্ধ হলে ভাজা বাদাম দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন।