বৃষ্টি নামলেই মনটা উদাস হয়। সঙ্গে এটাও মনে হয় ইশ্, এখন যদি ইলিশ-খিচুড়ি খাওয়া যেত! কত খাবারই তো আছে তার মধ্যে বৃষ্টি দেখলে ইলিশ-খিচুড়ি খাওয়ার সাধ জাগে কেন মনে? এই প্রশ্নটা কখনো মাথায় খেলা করেছে কি?
বৃষ্টির দিনে এই ইলিশ-খিচুড়ি খাওয়ার পেছনেও আছে মজার মজার বেশ কিছু তথ্য। এমনটাই জানালেন রন্ধনবিশারদেরা। যেমন বর্ষার মৌসুমে পদ্মার ইলিশটা ভালো পাওয়া যায়। এ কারণেই বর্ষার সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে—বলছিলেন রন্ধনশিল্পী নাহিদ ওসমান।
এদিকে খিচুড়ি ছিল মূলত বাউলদের খাবার। পথে-ঘাটে গান করে বেড়াতেন বাউলেরা। সে সময় বাড়ি বাড়ি গান শোনাতে গেলে লোকজন তাঁদের চাল-ডাল দিত। সেগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে বাউলেরা রান্না করে খেতেন। পরবর্তী সময়ে যেটার নাম হয়ে গেল খিচুড়ি। এ ছাড়া বর্ষার বৃষ্টিতে চারিদিক পানিতে ভরে যেত। যে কারণে এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে বাজার করাও বেশ কষ্টের কাজ হয়ে দাঁড়াত। তখন ঘরে থাকা চাল-ডালেই গৃহিণীরা রান্না করতেন খিচুড়ি।
রন্ধনশিল্পী সিতারা ফেরদৌস বললেন, ‘পল্লিগ্রামে আগে কাঠ দিয়ে রান্নার কাজ হতো। বর্ষা এলেই বাড়ির উঠোন ভরে যেত পানিতে। কাঠ ভিজে গেলে রান্না করতে অনেক সময় লাগত। যে কারণে তাড়াতাড়ি রান্নার জন্য গৃহিণীরা চাল ও ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতেন। একসময় শহুরে কায়দায় বর্ষা যাপনে প্রিয় খাবারের তালিকায় উঠে এসেছে ইলিশ-খিচুড়ি।’