শিরোনামে সামান্য ভুল আছে। লাখ টাকা নয়, এক টাকা কম। আইসক্রিমটির দাম ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর এই আইসক্রিম আপনি যদি চেখে দেখতে চান, তাহলে আপনাকে যেতে হবে রাজধানীর বনানীর পাঁচ তারকা হোটেল সারিনায়। দাম শুনে মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এই আইসক্রিম কি সোনায় মোড়ানো? উত্তর হলো, হ্যাঁ। আসলেই এই আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ারযোগ্য সোনা।
হোটেল সারিনার ১৯তম বর্ষপূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে চমকপ্রদ এই আইসক্রিমের প্যাকেজ এনেছে তারা। গতকাল তাদের ফেসবুক পেজে এই আইসক্রিম নিয়ে পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই পোস্ট। অনেকেই সেখানে বন্ধুদের ট্যাগ করে সেই আইসক্রিম খাওয়াতে বলেছেন। একজন মজা করে লিখেছেন, ‘আইসক্রিমের দাম দেখে “আই স্ক্রিম”।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ঢাকা শহরের ফুড ব্লগাররা সব কই? রিভিউ দেখতে চাই।’ এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটিই ঢাকা শহরের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম। আইসক্রিমের এই প্যাকেজ কিনলে হোটেল স্যারিনার লাক্সারিয়াস ইম্পেরিয়াল সুইটে এক রাত থাকা যাবে বিনা মূল্যে। এমনিতে এখানে এক রাত থাকতে আপনার খরচ হবে ৪০ হাজার টাকা। আইসক্রিমের প্যাকেজের সঙ্গে আরও আছে সকালের নাশতা।
আপনি হয়তো ভাবছেন, কে খাবে লাখ টাকার আইসক্রিম? বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছিল, লাখ টাকার এই আইসক্রিমটি চেখে দেখতে হলে আপনাকে আগে থেকে হোটেলে বুকিং দিতে হবে। কেননা, এই হোটেলে বিলাসবহুল ইম্পেরিয়াল সুইটের সংখ্যা মাত্র ১। আর ইতিমধ্যে অসংখ্য ফরমাশ এসেছে এই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই এই তাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, আপাতত লাখ টাকার সোনার আইসক্রিমের ফরমাশ না করার জন্য। কেননা তারা আর অর্ডার নিতে পারছে না। এ ছাড়া হোটেলটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (মার্কেটিং) সৈয়দ মেহেরান হুসাইন জানিয়েছেন, আইসক্রিমের জন্য তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে গোল্ড লিফ এনেছিলেন। এই গোল্ড লিফ এখন ‘আউট অব মার্কেট’। তাই খুব বেশি ফরমাশ নেওয়ারও সুযোগ নেই। তিনি বললেন, ‘আমরা আসলে ভাবিনি যে আমাদের এই উদ্যোগ এতটা সাড়া ফেলবে! আমরা অভিভূত।’
ব্যবহারযোগ্য সোনা ছাড়াও আরেকটি বিশেষ রকমের সোনা খাওয়াও যায়। সেটিই ব্যবহার করা হয়েছে এই আইসক্রিমের রেসিপিতে। খাওয়ার সোনা দুবাইসহ বিশ্বের ধনী ও সোনাসমৃদ্ধ শহরগুলোয় জনপ্রিয়। দামি এই ধাতু পুষ্টিগুণসমৃদ্ধও। সোনা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কয়েকটি ভিটামিন, জিংক, কপার ও সেলেনিয়ামের উৎস। নবাবি খাবারে সোনা ব্যবহারের রীতি ছিল।