গরমে রাঁধুন ঠাকুরবাড়ির এসব পদ

আজ ২৫ বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। শিল্প–সাহিত্য ছাড়া ফ্যাশন আর খাবারের ফিউশন—কোনো কিছুতেই কমতি ছিল না ঠাকুরবাড়ি। আজও তাই বাঙালি ফিরে ফিরে যায় ঠাকুরবাড়ি। যে বাড়ির হেঁশেলে তৈরি হতো দেশ–বিদেশের নানা পদ, সেই ঠাকুরবাড়িতে গরমে কী রান্না হতো? ভারতের কলকাতা থেকে ঠাকুরবাড়ির কিছু রান্নার রেসিপি পাঠালেন রন্ধনগবেষক ও শিল্পী শর্মিলা বসু ঠাকুর

ছানার ডালনা

ঠাকুরবাড়ির ছানার ডালনা

উপকরণ: ছানা ২৫০ গ্রাম, ময়দা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, গোটা জিরে ১ চা-চামচ, শুকনো লঙ্কা ২টি, তেজপাতা ২টি, জিরেবাটা ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়ো আধা চা-চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো আধা চা-চামচ, চিনি সামান্য, গরমমসলার গুঁড়ো আধা চা-চামচ, ঘি ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: ছানা কেটে জল ঝরিয়ে সামান্য জাগ দিয়ে নিন। লবণ ও ময়দা দিয়ে ভালো করে মাখুন। চ্যাপটা আকারে গড়ে তেলে ভেজে নিন। ছানা উঠিয়ে নিন। এবার ওই তেলে জিরে, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। গরমমসলার গুঁড়ো ছাড়া বাটা ও গুঁড়ো মসলা অল্প জলে গুলে নিন। মসলা ভালো করে কষিয়ে লবণ, চিনি ও জল দিন। ফুটে উঠলে ভাজা ছানা দিন। নামানোর আগে ঘি, গরমমসলা দিন। কাঁচা লঙ্কা দিতে পারেন।

দই দিয়ে আলুর দম

আলুর দম

উপকরণ: আলু ১ কিলোগ্রাম, টক দই ৫০০ গ্রাম, হিং আধা চা-চামচ, সাদা তেল ৩ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা-চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, কাঁচা লঙ্কা ৩-৪টি, ভাজা জিরের গুঁড়ো ১ চা-চামচ।

প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে ভেজে তুলে রাখুন। দই আর লঙ্কার গুঁড়ো একসঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি দিন। হিং ফোড়ন দিন, দই ও আলু দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। লবণ, চিনি দিন। সামান্য পানি দিতে পারেন। জিরে ভাজার গুঁড়ো আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।

শাকভাজা

কলমি শাকভাজা

উপকরণ: কলমিশাক ১ মুঠো, শুকনো লঙ্কা ২টি, রসুনকুচি ১ চা-চামচ, ভেজানো মটরের ডাল ২ টেবিল চামচ, শর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ চিমটি।

প্রণালি: শাক বেছে, কুচিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, রসুনকুচি ফোড়ন দিন। শাক দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। লবণ, মিষ্টি দিয়ে ঢাকা দিন। মটর ডাল ছড়িয়ে নাড়ুন, ঢাকা দিন। নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন।