রেসিপি

দাওয়াতে রাখুন এই দুই রেসিপি

এ সময়ে দাওয়াতের হিড়িক পড়ে যায়। মেহমানদের খাবার পাতে শীত উপযোগী খাবার পরিবেশন করতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন শুভাগতা দেবাশীষ

আচারি মাংস

উপকরণ: খাসির মাংস ১ কেজি, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, আধা ভাঙা ধনে ২ চা-চামচ, মেথিপাতার গুঁড়া ২ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, চাট মসলা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, কালো জিরা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, টমেটো পিউরি ৩ টেবিল চামচ, আস্ত রসুনের কোয়া ৬ থেকে ৭টি, টমেটো টুকরা করা ২টি, কাঁচা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, পানি কষানোর জন্য প্রয়োজনমতো।

আচার দিয়ে রান্না করা খাসির মাংস

আচারের মসলার উপকরণ: আস্ত শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, কালো জিরা ১ চা-চামচ, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, মেথি ১ চা-চামচ, মৌরি ১ চা-চামচ, শর্ষে ১ চা-চামচ ( সব মসলা থেকে অর্ধেক পরিমাণ নিয়ে টেলে গুঁড়া করে নিতে হবে। বাকি অর্ধেক মসলা আলাদা করে রাখুন।)

প্রণালি: কড়াইতে তেল দিয়ে দিন। মাংস দিয়ে দুই-তিন মিনিট নাড়তে হবে। মাংসের রং পরিবর্তন হলে একে একে আদাবাটা, রসুনবাটা, সব গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। পানি দিয়ে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে কষাতে হবে। টক দই দিন। টমেটো পিউরি দিতে হবে। আবার কিছু সময় নিয়ে কষান। চুলা মৃদু আঁচে দিয়ে ঢেকে রাখুন। মাংস সেদ্ধ হলে ব্লেন্ড করে রাখা আচারি মসলার গুঁড়া দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে আস্ত কাঁচা মরিচ, টমেটো টুকরা, আস্ত রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। পুরোপুরি মাংস হয়ে গেলে আলাদা পাত্রে তেল গরম করে আচারের মসলার থেকে আলাদা করে রাখা অর্ধেক উপকরণগুলো দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর রান্না করা মাংসে ঢেলে দিন। ৬ থেকে ৭ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। হয়ে গেলে ইচ্ছেমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

নার্গিস কোফকা

নার্গিস কোফকা

উপকরণ: মুরগির মাংসের কিমা আধা কেজি, ডিম সেদ্ধ ৪টি, বেসন ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ৩/৪টি, পেঁয়াজকুচি ২টি, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, ডিম ১টি, লবণ পরিমাণমতো, ধনেপাতা অল্প পরিমাণ।

প্রণালি: সেদ্ধ ডিম ছাড়া সব কটি উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। হাতের তালুতে তেল মেখে নিন। ডিমের চারদিক কিমা দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। এরপর ডুবো তেলে সময় নিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। ইচ্ছেমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন। কাসুন্দির সঙ্গে খেতে পারেন।