কাজের চাপে জীবন যখন ‘চিড়েচ্যাপটা’, তখন অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘মাথা তো আর কাজ করছে না’। কিন্তু যুগের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিযোগিতার এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে মস্তিষ্ককে তো ‘ছোটাতেই’ হবে! ‘বেচারি’ মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করতে কিছু খাবার ও পানীয় খেয়ে দেখতে পারেন, কাজে দেবে।
কফি
কফিতে আছে ক্যাফেইন। কফি খেলে আপনি সতেজ হয়ে উঠবেন, আপনার মনোযোগ বাড়বে, মেজাজও চাঙা হবে। শুরুতেই যদি সারা সপ্তাহের কাজের তালিকা দেখে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, এক কাপ কফি খেয়ে নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন। উপকার পাবেন।
গ্রিন টি
কফির বিকল্প হতে পারে গ্রিন টি। ঝুটঝামেলার মধ্যে মনোযোগ স্থির করতে গ্রিন টি কিন্তু বেশ কাজে দেয়। স্মৃতি ধরে রাখতেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত চা-কফি কোনোটাই ভালো নয়।
হট চকলেট
মনোযোগ বাড়াতে আর স্মৃতি ধরে রাখতে হট চকলেট কিন্তু পানীয় হিসেবে দারুণ উপকারী। চকলেটের মধ্যে ডার্ক চকলেটই সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। তবে চকলেট বেশি খাবেন না। এতে উচ্চমাত্রায় ক্যালরি থাকে।
লেবুপানি
লেবুর ভিটামিন সি কাজ করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় রোধ করতে কাজে দেবে লেবুপানি। তা ছাড়া লেবুর সুঘ্রাণেও আপনি সতেজ হয়ে উঠতে পারেন।
বিটের রস
বিটের রসেও পাবেন প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। মস্তিষ্কের শক্তির উৎস হয়ে উঠতে পারে এই পানীয়। ক্লান্তি দূর করতে এবং ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমাতেও কাজে দেয়।
গ্রিন স্মুদি
পালংশাকের স্মুদি শুনেই কি হেসে ফেললেন? শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও এই স্মুদি আপনার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পালংশাকের সঙ্গে বেরিজাতীয় ফল আর কলা মিশিয়ে তৈরি করে নিন গ্রিন স্মুদি।
আরও কিছু খাবার
নানান পানীয়ের কথা তো জানা হলো। এসবের ভিড়ে পানির কথা ভুলে যাবেন না যেন। পানীয়ে থাকা পানি কিংবা কেবল এক গ্লাস পানিই আপনার মস্তিষ্কের জন্য দারুণ কাজে দেবে। তাই কাজের ফাঁকে পানি খাবেন অবশ্যই। মস্তিষ্ককে বিশ্রামও দিন। রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটালে কিংবা সিনেমা দেখলে পরদিন কাজের সময় আপনার মস্তিষ্ক ঝিমিয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই রোজ আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। আবার একটানা দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকলেও আপনার মস্তিষ্কের কোষগুলো গ্লুকোজ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই মাঝেমধ্যে হালকা খাবারও খান।