দেশে এখন তৈরি হচ্ছে নজরকাড়া তৈজসপত্র

অতিথি অ্যাপায়নে টেবিল সাজানোতে ব্যবহার হয় দৃষ্টিনন্দন বাসনকোসনের।
ছবি : নকশা

অতিথি অ্যাপায়নে টেবিলের আয়োজন নজর কাড়েই। শৌখিন মানুষেরা কিনছেন কাচ, সিরামিক, স্টিল, মাটি কিংবা কাঠ—সব ধরনের বাটি। আমাদের দেশের বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে বেশ রুচিসম্মত নকশা ও নানা আকারের তরকারির বাটি। টেবিলে তরকারি পরিবেশনের জন্য বাটি কোথায় পাবেন, কোনটির দাম কেমন, জেনে নিন সবকিছু।

চাহিদা থাকায় দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে এ ধরনের বাটি

তুর্কি মোটিফের সিরামিকের বাটি

উজ্জ্বল রঙের সিরামিকের বাটির ব্যবহার জনপ্রিয় কয়েক বছর ধরেই। ডিম্বাকৃতি, তিন কোনা কিংবা চার কোনা, খুঁজলে মিলবে যেকোনো আকার। রাজধানীর গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেটের রমিজ ভ্যারাইটি স্টোরের মোহাম্মদ অঙ্কন বলেন, সিরামিকের বাটির দুই পাশে রঙিন নকশা করা বাটিগুলো তৈরি করা হয়েছে তুর্কি ঢঙে। চাহিদা থাকায় দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে এ ধরনের বাটি। বাজারের বড় দোকান থেকে, রাস্তার ভ্যান কিংবা ফুটপাত যেকোনো জায়গাতেই বিক্রি হচ্ছে এগুলো। দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হওয়ায় ক্রেতারাও কিনতে পারছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে কেউ চাইলে একেবারে তুরস্ক থেকে আসা আসল তুর্কি বাটিও পেয়ে যাবেন বাজারে। গুনতে হবে চার গুণ বেশি দাম। খাঁটি জিনিস বলে কথা!

এই হাঁড়িতে রাঁধতেও পারবেন আবার পরিবেশন করতে পারবেন

চুলা থেকে টেবিলেই হাঁড়ি

যে হাঁড়িতে রাঁধছেন, সেটিই যদি টেবিলে পরিবেশন করা যায়, এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতোই হবে বিষয়টি। টেবিলের সাজে চলে আসবে ভিন্নতা, বাড়তি বাটি ধোয়ার ঝামেলাও কমে যাবে। সাধারণত রান্নার জন্য এগুলো কেনেন ক্রেতারা। সেট হিসেবে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন আকারের হাঁড়িগুলোয় দাগ পড়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। দাগ পড়লেও ঠিকমতো ধুয়ে ফেললে উঠে যাবে বলে জানান বিক্রেতারা। ইস্পাতের তৈরি হাঁড়িগুলোর দাম ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। পাথরের বাটি ও হাঁড়ি পাবেন ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকায়।

স্বচ্ছ কাচের বাটিতে খাবারের নিজের রং কিংবা আকার চোখে পড়বে অনায়াসে

স্বচ্ছ কাচের বাটি

সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি টেবিলের অন্যান্য যেকোনো বাটির সঙ্গে মানিয়ে যাবে স্বচ্ছ কাচের তৈরি তরকারির বাটি। এ ধরনের বাটিতে আজকাল দেখা মিলছে আধুনিক নকশার। আকারেও থাকছে ভিন্নতা। দেখতে সাধারণ মনে হলেও পরিবেশনের পর অসাধারণ লাগবে,খাবারের নিজের রং কিংবা আকার চোখে পড়বে অনায়াসে। বলছিলেন বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম। কিনতে চাইলে দাম পড়বে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।

কাঠ ও মাটির বাসনকোসনে খাবার পরিবেশন স্বাস্থ্যসম্মতও বটে

কাঠ ও মাটির প্রাকৃতিক বাটি

দেশি উৎসবগুলোতে অনেকটা শখের বশে অনেকে কাঠ কিংবা মাটির বাটিতে খাবার পরিবেশন করেন। তবে এ ধরনের বাটিগুলো নিয়মিতই ব্যবহার করা যায়। মাটির বাটিতে কাটা নকশার দেখা মিললেও চোখজুড়ানো সব আকার ও প্রকারের দেখা মেলে কাঠের বাটিগুলোতে। আজকাল কাঠের তৈজস নিয়ে কাজ করছে ‘ইকিগাই’। এটির স্বত্বাধিকারী ও নকশাকার নওয়াজেশ সালেহিন সানি বলছিলেন, কাঠের বাটি দেখতে সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতও। এ ধরনের বাটিতে ফুটে ওঠে ব্যক্তির সুরুচিও। মাঝেমধে৵ একটু খাওয়ার তেল দিয়ে মুছে রাখলে দীর্ঘদিন থাকবে নতুনের মতো। দাম হাজারের মধ্যেই। মাটির বাটি আকার ও নকশা ভেদে পেয়ে যাবেন ৬০ থেকে ২০০ টাকায়। নিউমার্কেট, গুলশান–১ ডিসিসি মার্কেট, উত্তরা রাজলক্ষ্মী, মিরপুর হোপ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডের ফুটপাতঘেঁষা বিভিন্ন দোকানে।