ইলিশের সঙ্গে চাল বা ডাল মিলিয়ে তৈরি করা যায় নানা পদ। চাইলে বিরিয়ানিতেও যোগ করা যায় ইলিশ মাছ। রেসিপি দিয়েছেন সেলিনা আক্তার।
উপকরণ
ইলিশ মাছ ৬ টুকরা, আদাবাটা দেড় চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, পানি ঝরানো টক দই সিকি কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
মাছ ধুয়ে কিচেন টাওয়েল দিয়ে মুছে নিন। ওপরের সব মসলা দিয়ে মেখে রাখুন এক ঘণ্টা।
বিরিয়ানির উপকরণ
আটা আধা কেজি, পোলাও চাল আড়াই কাপ, আলু ৫–৬ টুকরা, মাওয়া সিকি কাপ, আলুবোখারা ৬–৭টি, কিশমিশ ৩ টেবিল চামচ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৭–৮টি, তেল সিকি কাপ, নারকেল দুধ ১ কাপ, বেরেস্তা সিকি কাপ, আস্ত গরমমসলা আন্দাজমতো (চাল ফোটানোর জন্য), লবণ ১ চা-চামচ (চাল ফোটানোর জন্য), পানি ৮ কাপ।
প্রণালি
মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার যে হাঁড়িতে রান্না করবেন, তাতে ম্যারিনেট করা মাছগুলো দিয়ে দিন। আটায় সামান্য পানি মিশিয়ে শক্ত খামির তৈরি করে এক পাশে রাখুন। চাল ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। চুলায় পানি দিয়ে আস্ত গরমমসলা ও লবণ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে চাল দিয়ে দিন। চাল দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁজরিতে চেলে ফেলুন। এবার মাছের হাঁড়িতে ভাজা আলুগুলো সাজিয়ে দিন। অর্ধেক মাওয়া, আলুবোখারা, কিশমিশ, অর্ধেক কাঁচা মরিচ, তেল, আধা কাপ নারকেল দুধ ও জ্বাল দেওয়া স্টকের অর্ধেকটা মাছের ওপর ছড়িয়ে দিন। এবার ফুটিয়ে রাখা চালের অর্ধেকটা মাছের ওপর ছড়িয়ে দিন। সেই চালের ওপর বাকি আলুবোখারা, কিশমিশ, মাওয়া, কাঁচা মরিচ ও কিছুটা বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। বাকি চাল দিয়ে দিন। তার ওপর বাকি নারকেল দুধ ও ইলিশের স্টক ছড়িয়ে দিন। এবার পাতিলে ঢাকনা দিয়ে দিন। আটার খামির দিয়ে এমনভাবে আটকে দিন যেন বাতাস বের হতে না পারে। এবার চুলায় তাওয়া দিয়ে হাঁড়ি এর ওপরে রাখুন। প্রথম ১০ মিনিট চড়া আঁচে রাখুন। এরপর একদম কম আঁচে আধা ঘণ্টা দমে রাখুন। এই দমেই চাল ও মাছ সেদ্ধ হবে। এক ঘণ্টা পর আটার সিল খুলে গরম-গরম পরিবেশন করুন।