পুরস্কারটির নাম ‘পিংক লেডি ফুড ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’। যুক্তরাজ্যের বাজারে ‘পিংক লেডি’ মূলত সুস্বাদু আপেলের ব্র্যান্ড। ফলের জন্য পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি এক দশক ধরে খাদ্যবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
গত ৫ জুন ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ছবিসহ প্রতিযোগিতার ২৬ শ্রেণিতে স্থান পাওয়া ছবিগুলোর নাম। এর মধ্যে তিনটি শ্রেণিতে বাংলাদেশি তিন আলোকচিত্রীর ছবি বিজয়ী হয়েছে, সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে আরও কয়েকজনের ছবি। এবারের প্রতিযোগিতায় বর্ষসেরা হয়েছে চীনের আলোকচিত্রী ঝংহুয়া ইয়াংয়ের তোলা একটি ছবি।
‘পিংক লেডি ফুড ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী ১০টি ছবি দেখে নেওয়া যাক—
ঝংহুয়া ইয়াংয়ের ‘রেড বিন পেস্ট বলস’ শিরোনামে বর্ষসেরা ছবিটি প্রতিযোগিতার ‘ফুড ফর সেলিব্রেশন’ শাখাতেও সেরা। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বসন্ত উৎসবের আগে ঐতিহ্যবাহী ডিমসাম তৈরিতে ব্যস্ত চীনের জিয়াংশানের প্রত্যন্ত গ্রামের এক নারী‘ম্যানগ্রোভ ফিশারম্যান’ শিরোনামে জাপানের আলোকচিত্রী তেও চিন লেংয়ের ছবিটি ‘ফুড ইন দ্য ফিল্ড’ শাখায় সেরা হয়েছেবীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন থাইল্যান্ডের এক তরুণ কৃষক। ‘ব্রিং হোম দ্য হারভেস্ট’ শাখায় ছবিটি প্রথম হয়েছেইউক্রেনের আলোকচিত্রীর ভিক্টোরিয়া কনদিসেঙ্কোর তোলা পানীয় তৈরির ছবিটি ‘ইনোভেশন’ শাখায় সেরা হয়েছেভারতের একটি মাছবাজারের এই ছবিটি মুঠোফোনে তোলা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হেইন ভ্যানের তোলা মাছবিক্রেতার ছবিটি ‘অন দ্য ফোন’ শাখায় প্রথম হয়েছে‘ফুড ফর ফ্যামিলি’ শাখায় চীনের আলোকচিত্রী রেন শিউটিংয়ের ছবিটি তৃতীয় হয়েছেযুক্তরাজ্যের এক বিয়ের আয়োজনে লেন কেনেডির তোলা ছবিটি ‘ওয়েডিং ফুড ফটোগ্রাফার’ শাখায় প্রথম হয়েছেআয়েশা নামে এক নারী প্রতিদিন হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে মেয়ে হনুফাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের পথেঘাটে বিক্রি করে বেড়ান। বাংলাদেশের রিয়াজ উদ্দিনের তোলা মা-মেয়ের ছবিটি ‘স্ট্রিট ফুড’ শাখায় প্রথম হয়েছে২০২২ সালে দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সড়ক অবরোধ করেন সিলেটের চা-বাগানের শ্রমিকেরা। ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছবিটি ‘পলিটিকস অব ফুড’ শাখায় তৃতীয় হয়েছে। এই ছবির আলোকচিত্রী বাংলাদেশের রাফায়েত হক খান‘ফুড ফর সেল’ শাখায় সেরা হয়েছে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী আজিম খানের এই ছবি। রাঙামাটির একটি ভাসমান বাজারের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে নৌকায় করে আম-কাঁঠালসহ নানা মৌসুমি ফল বিক্রি করতে এনেছেন পাহাড়ি মানুষেরা