>ঐতিহ্যবাহী কিন্তু সহজে বানানো যাবে, এবার ঈদের সকালের নাশতায় এমন খাবার রাখতে পারেন। হাতের নাগালে পাওয়া যাবে এমন উপকরণই কাজে লাগিয়ে দিন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজ সাইদা।
শাহি ফিরনি
উপকরণ: পোলাওয়ের চাল আধা কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, চিনি পৌনে এক কাপ, লবণ স্বাদমতো, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, পেস্তা পরিমাণমতো।
প্রণালি: প্রথমে পোলাও চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে চাল কচলে আধা ভাঙা করে রাখুন। পেস্তা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে কুচি করে রাখুন। গোলাপজলে জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। চালে এক কাপের চার ভাগের তিন ভাগ অংশ পানি ও লবণ দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। সেদ্ধ হওয়ার পর তরল দুধের মধ্যে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে চালে দিয়ে দিন। এবার গোলাপজলে ভেজানো জাফরান, পেস্তা ও চিনি মিশিয়ে দিন। ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
জর্দা সেমাই
উপকরণ: সেমাই এক প্যাকেট (২০০ গ্রাম), চিনি ১৫০ গ্রাম, ঘি আধা কাপ, এলাচি ৬টি, দারুচিনি ৬ টুকরা, লবঙ্গ ৪টি ও পানি সোয়া কাপ।
প্রণালি: হাঁড়িতে ঘি নিয়ে তাতে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ দিয়ে সেমাই দিন। হালকা বাদামি করে ভাজুন ও নাড়তে থাকুন। চাইলে অল্প জাফরানি রং দিতে পারেন। সেমাই সেদ্ধ হলে তাতে চিনি দিন। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে কিছুক্ষণ ছড়িয়ে রেখে বাদাম ও চেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লেয়ার লাচ্ছা সেমাই
উপকরণ: লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট (২০০ গ্রাম), কনডেনসড মিল্ক ১ টিন, তরল দুধ ১ লিটার, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, খাওয়ার কমলা ও সবুজ রং, এলাচি ৪–৫টা, পেস্তাকুচি ২ টেবিল চামচ ও ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: হাঁড়িতে ঘি নিয়ে সেমাই ভেজে নিন। দুধে কনডেনসড মিল্ক ও গুঁড়া দুধ মিশিয়ে জ্বাল দিন। এলাচি ও অর্ধেক পেস্তা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। দুধ তিন ভাগ করে দুই ভাগে দুইটা রং মেশাতে হবে। সেমাই তিন ভাগে ভাগ করে নিন। এক ভাগ ঘি মাখানো মোল্ডে রেখে রং ছাড়া দুধ ঢেলে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এর ওপর সেমাই দিয়ে অন্য একটা রঙের দুধ ঢেলে দিয়ে আরেকটা স্তর করুন। আবার কিছু সময় ফ্রিজে রেখে বাকি সেমাই দিয়ে আরেকটি রঙের দুধ ঢেলে দিন। এভাবে তিনটি স্তর শেষ হলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে উল্টিয়ে নিন। সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মাংস ভুনা
উপকরণ: গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদাবাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ চা-চামচ, মরিচবাটা ২ চা-চামচ, হলুদবাটা ১ চা-চামচ, ধনেবাটা ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, দারুচিনি ৩ টুকরা, এলাচ ৫–৬টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: মাংস ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন।। মাংসে দই ও লবণ মাখিয়ে রাখুন। এবার হাঁড়িতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজুন। হলুদ, মরিচ, ধনে দিয়ে আধা কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। তারপর তাতে আদা, রসুন ও জিরাগুঁড়া দিন। অর্ধেক এলাচি, দারুচিনি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মাংস দিয়ে অনেকক্ষণ কষাতে হবে। এবার পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে টমেটো সস ও বাকি গরমমসলা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
সবজি কেক
উপকরণ: গাজরকুচি, বাঁধাকপিকুচি, ক্যাপসিকামকুচি, সব মিলিয়ে ১ কাপ, চিজ আধা কাপ, ডিম ৪টি, ময়দা ৩ টেবিল চামচ, মাখন বা তেল ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ৩ টেবিল চামচ, আদাকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিলি সস ২ টেবিল চামচ, লেবুপাতাকুচি আধা চা-চামচ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: সব সবজি ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, লেবুপাতা কুচি করে কেটে নিন। সব সবজি হালকা সেদ্ধ করে নিন। এবার চুলায় হাঁড়িতে তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি, আদাকুচি ও সবজিকুচি দিয়ে রান্না করে নামিয়ে ফেলুন। কেকের মোল্ডে মাখন লাগিয়ে রাখুন। একটা বড় বাটিতে ডিম, ময়দা, কাঁচা মরিচকুচি, লেবুর রস, চিলি সস, লেবুপাতাকুচি, বেকিং পাউডার ও লবণ পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। ভাজা সবজিগুলো মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণ মোল্ডে ঢেলে দিন। প্রি–হিট করা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ৩০-৪০ মিনিট বেক করুন।
বসনিয়ান পরোটা
উপকরণ: ময়দা ৫০০ গ্রাম, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, লবণ ২ চা-চামচ, ইস্ট ২ চা-চামচ, পানি পরিমাণমতো ও ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: তেল ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে পানি দিয়ে মথে খামির করুন। ভালোভাবে মথে পরে তেল মিশিয়ে দিন। আধা ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। এবার খামিরটা চেপে বাতাস বের করে পুরু করে ছোট ছোট রুটি বেলে রেখে দিন। তারপর হাঁড়িতে তেল গরম করে, আঁচ কিছুটা কমিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নামিয়ে পরিবেশন করুন।