বছরজুড়ে নাশতায় দেখা গেছে বৈচিত্র্য। কারণ দুপুর বা রাতের খাবারের পাশাপাশি সকালের নাশতা খাওয়ার নিমন্ত্রণের হার বেড়েছে ২০১৯ সালে।
নাশতার পদে বৈচিত্র্য এসেছে এবছর। দেশি উপকরণ দিয়ে বিদেশি প্রণালিতে বানানো হয়েছে নানা খাবার। স্বাদে মজা, পুষ্টিকর আর দেখতে বাহারি এমন খাবার ছিল বিশেষ দিনের আয়োজনেও। ঈদের নাশতা, বিয়েবাড়ির নাশতা, পূজা, পয়লা বৈশাখ, পারিবারিক পুনর্মিলন, বন্ধুদের দাওয়াত, নতুন অতিথি আপ্যায়নে এসব খাবার খেতে দেওয়া হয়েছে।
কর্মব্যস্ত নগরে প্রত্যেকেই সময় বাঁচিয়ে চলতে চায়। তাই ঝটপট করা যায়, এমন খাবারই রান্নার দিকে ঝোঁক ছিল এ বছর।
মুখরোচক অনেক খাবার আছে, যা খুব অল্প সময়ে ঘরেই তৈরি করা যায়। আলু, ময়দা, ডিম, দুধ সবার ঘরেই থাকে। আর মুরগি রান্নার সময় ডানাগুলো কেটে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখুন। এ ছাড়া সুপারশপে ‘চিকেন উইংস’ আলাদাভাবে পাওয়া যায়। ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই থাকছে কিছু নাশতার রেসিপি, যা খুব কম সময়ে তৈরি করা যায়।
উপকরণ: ডিম ৬টা, ঘন তরল দুধ আধা কাপ, চিনি আধা কাপ, কমলার রস ২ টেবিল চামচ, মাখন বা ঘি ১ চা-চামচ, অরেঞ্জ রাউন্ড ১ চা-চামচ।
প্রণালি: কমলা থেকে রস বের করে নিন। চিনির সঙ্গে জ্বাল দিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে ডিমের সঙ্গে মেশান। তরল দুধ দিয়ে নাড়ুন। অরেঞ্জ রাউন্ড দিন। পুডিং যে বাটিতে তৈরি করবেন, সে বাটিতে বাটার অথবা ঘি ব্রাশ করে নিন এবার পুডিংয়ের মিশ্রণ বাটিতে ঢেলে নিন। প্যানে পানি দিয়ে একটা স্ট্যান্ডের ওপর বাটি বসিয়ে ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর ডিমের মিশ্রণ জমে গেলে পুডিং তৈরি হয়ে যাবে।
উপকরণ: পাউরুটি ৯ টুকরা, সেদ্ধ ডিম ৬টা, মেয়নেজ দেড় কাপ, গোলমরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গাজর কুচি ২ টেবিল চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, লেটুসপাতাকুচি আধা কাপ।
প্রণালি: ডিম সেদ্ধ করে কুচি করে নিন। ১ কাপ মেয়নেজের সঙ্গে গোলমরিচ, গাজরকুচি, ডিমের কুচি, লেটুস মেশান। পাউরুটির চারপাশের অংশ কেটে নিন। বাটার অল্প ভেজে নিন। পাউরুটি না ভেজেও স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারেন। প্রতি স্লাইসে হালকাভাবে মেয়নেজ মেখে নিন। এবার ডিম মেয়নেজের মিশ্রণ মেখে আরেকটি পাউরুটি দিয়ে ঢেকে দিন। এর ওপর আবার মিশ্রণ দিয়ে আরও একটি পাউরুটি দিয়ে কোনাকুনি করে দুই ভাগ করে কেটে নিন। ইচ্ছা হলে সামান্য লেটুসপাতাও এতে দিতে পারেন। ৯ টুকরা পাউরুটি থেকে ৬টি ক্লাব স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারবেন।
উপকরণ: ময়দা আধা কাপ, ডিম ১টা, শুকনা ফল (কিশমিশ, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম) ১ টেবিল চামচ। তেল অথবা মাখন ২ টেবিল চামচ, এসেন্স ২ ফোঁটা, তরল দুধ আধা কাপ, খাবার রং (ইচ্ছা) কয়েক ফোঁটা, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, চিনি আধা কাপ।
প্রণালি: একটা মগে ডিম ফেটে চিনি, দুধ, তেল অথবা মাখন মেশান। এতে এসেন্স অথবা দারুচিনিগুঁড়া সামান্য মেশান। খাবার রং দিতে চাইলে দিন। ময়দা ও বেকিং পাউডার মেশান। এবার একটি মগের অর্ধেকটা পরিমাণ কেকের ব্যাটার দিন। তারপর বাদামকুচি, কিশমিশ দিয়ে মগ মাইক্রোওভেনে ২ মিনিট রাখুন। ২ মিনিটেই কেক তৈরি হয়ে যাবে।
উপকরণ: মুরগির উইংস বা ডানা ৮টি, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, নাগা মরিচবাটা আধা চা-চামচ, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, অয়েস্টার সস ১ চা-চামচ, সয়া সস ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, লাল মরিচবাটা আধা চা-চামচ, সরিষাবাটা আধা চা-চামচ, সরিষার তেল ১ চা-চামচ, কর্ন ফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: মুরগির ডানা থেকে ওপরের চিকন অংশ কেটে বাকি অংশ থেকে হাড়ের অংশে কেটে দুই ভাগ করুন। প্রতিটি ডানা থেকে দুই টুকরা করে ১৬ টুকরা হবে। এবার বাকি সব উপকরণ মুরগির ডানার সঙ্গে মেখে ১০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। অল্প তেলে ভেজে নিন।
উপকরণ: মাঝারি আলু ৫টা, ময়দা আধা কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, চিলি ফ্লেক্স আধা চা-চামচ, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, লাল মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: আলুর ওপরের হলুদ অংশ কেটে নিন। প্রতিটি আলু লম্বা করে ৮ টুকরা করে কাটুন। পরিষ্কার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। আলুর টুকরা ধুয়ে লবণপানিতে আধা সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন। একটা বাটিতে ময়দা, কর্ন ফ্লাওয়ার, চিলি ফ্লেক্স ধনেপাতাকুচি, গোলমরিচগুঁড়া, লাল মরিচগুঁড়া, লবণ একসঙ্গে পৌনে এক কাপ পানিতে গুলে নিন। এই ব্যাটারে আধা সেদ্ধ আলু গড়িয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন। মেয়নেজ অথবা টমেটো সসের সঙ্গে গরম-গরম ওয়েজেস পরিবেশন করুন।