ভিটামিন সির দৈনিক চাহিদা পূরণের সহজ রাস্তা খুঁজছেন? কমলার খোসার এ সুস্বাদু ক্যান্ডিগুলো চেখে দেখতে পারেন।
কত লোকের কাছ থেকে কতবার যে আমরা ভিটামিন সির গুণাগুণ শুনেছি। প্রতিনিয়ত আমাদের বলা হয়েছে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখার এটাই একমাত্র কারণ নয়। হাড় ও দাঁতের শক্তি ধরে রাখতে, বিপাক বাড়াতে, ক্ষত সাড়াতে এবং ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এ পুষ্টি দরকারি। আর এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য আমরা ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ ফল, ফলের রস ও খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু প্রতিদিন জোগাড়যন্ত্র করে এ খাবারগুলো তৈরি করা একটি বিরাট ঝামেলার কাজ। ঝক্কি না সয়ে সহজে প্রতিদিন ভিটামিন সি লাভের কোনো উপায় কি নেই?
‘ঘাবড়াও মাত’, আপনি যা খুঁজছেন, আমাদের কাছেই আছে! এখানে আপনার জন্য কমলার খোসা দিয়ে বানানো ক্যান্ডির একটি রেসিপি আমরা দিচ্ছি, অল্প সময়েই যেটা তৈরি করা যাবে আর যেটা খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হবে!
মার্কিন কৃষি বিভাগ বলছে, কমলার খোসার ১ টেবিল চামচে (৬ গ্রাম) যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে, তা দিয়ে দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ মেটানো সম্ভব, ভেতরের রসাল ফলের তুলনায় এ পরিমাণ প্রায় তিন গুণ। ফলের তুলনায় এতে ফাইবারও রয়েছে চার গুণ। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক আরও অনেক পুষ্টি উপাদান কমলার খোসায় রয়েছে। এত সব দুর্দান্ত সুবিধা আছে যে খোসায়, সেটা দিয়ে ক্যান্ডি বানানোর সুযোগ কি কেউ মিস করে!
এ ক্যান্ডি তৈরির প্রক্রিয়াও খুব সহজ। আপনাকে যা করতে হবে, তা হলো কমলার খোসাকে কামড় উপযোগী আকারের টুকরা টুকরা করে কাটতে হবে, তারপর এগুলোকে মিষ্টি করার জন্য একটি চিনিযুক্ত সিরাপে মেশাতে হবে। তাহলে আর অপেক্ষা কেন? চলুন জেনে নিই এই ক্যান্ডি বানানোর সম্পূর্ণ রেসিপি।
কমলার ক্যান্ডির রেসিপি
১. প্রথমে কমলার খোসা নিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
২. এখন সেগুলো ধুয়ে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করুন।
৩. আলাদা একটি প্যানে, পানি ও চিনি দিয়ে বলক ওঠা পর্যন্ত জ্বাল দিন।
৪. এবার এতে কমলার খোসার টুকরাগুলো ফেলে দিন।
৫. ঘন ও থিকথিকে না হয়ে ওঠা পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। আনুমানিক ৩০ মিনিট লাগবে।
৬. হয়ে গেলে জারে সেগুলো সংরক্ষণ করুন!
একই প্রক্রিয়ায় চাইলে আপনি লেবু থেকেও ক্যান্ডি তৈরি করতে পারেন।