প্রথম আলোর রোববারের ক্রোড়পত্র ‘স্বপ্ন নিয়ে’তে লেখা পাঠিয়েছেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমত আরা। ‘পাঠকের চিঠি’ বিভাগে লেখা পাঠাতে পারেন আপনিও: swapno@prothomalo.com
আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (এএসএমই)—নাম শুনেই বোঝা যায়, মার্কিন যন্ত্রকৌশলীদের সংগঠন। এ বছর এই সোসাইটি থেকে আমি দুটি বৃত্তি পেয়েছি। একটি হচ্ছে এএসএমই ফাউন্ডেশন ভেরিয়েবল স্কলারশিপ (দেড় হাজার ডলার), অন্যটি এএসএমই ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ (সাত শ ডলার)। বৃত্তির অর্থ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। চাইলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি হিসেবে কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারব। আমি ছাড়াও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রুকাইয়া ইসলাম নামের আরও একজন এএসএমই ফাউন্ডেশন ভেরিয়েবল বৃত্তি পেয়েছেন। মোট দুই হাজার দুই শ ডলারের বৃত্তি দুটি কেন আমাকে দেওয়া হলো, কীভাবে এগুলো পাওয়া যায়, সেটাই আজ বলব। আশা করি অন্য শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু এএসএমইর স্টুডেন্ট সেকশন (শিক্ষার্থী শাখা) আছে, তাই বৃত্তিটি সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম। আগেও আমাদের ক্যাম্পাসের এক আপু বৃত্তি পেয়েছেন বলে শুনেছি। প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য আবেদন করেন। ২০০-৩০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়। যাঁরা নেতৃত্বগুণের প্রমাণ দিয়ে এএসএমইর স্টুডেন্ট সেকশনে কাজ করেছেন, সিজিপিএ ভালো, সহশিক্ষা কার্যক্রমে সরব, তাঁরাই বৃত্তি পান।
বৃত্তি আবেদনের জন্য আমাকে বিশাল এক ফরম পূরণ করতে হয়েছে। ফরমে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। যেমন আমি কী কী স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করেছি, কী পুরস্কার ও সনদ পেয়েছি, প্রকৌশল-সংক্রান্ত কী কাজ করেছি ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের সুপারিশপত্রও প্রয়োজন হয়েছে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এএসএমইর শিক্ষার্থী শাখা আছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা চাইলে আবেদন করতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে, অবশ্যই বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। তাহলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। পাশাপাশি সিজিপিএও ভালো রাখা চাই। টাকার অঙ্কটা খুব বড় কিছু নয়। কিন্তু এই বৃত্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে এগিয়ে রাখবে, উচ্চশিক্ষায়ও কাজে লাগবে। এএসএমইর বৃত্তিগুলো সম্পর্কে আরও জানা যাবে এই লিংক থেকে।