টাক মাথার মানুষ সফল ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন

টাক মাথার বিখ্যাত দুজন—ভিন ডিজেল ও ডোয়াইন জনসন
ছবি: সংগৃহীত

টাক মাথার পুরুষদের প্রতি নারীদের আকর্ষণ তুলনামূলক বেশি! যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, গবেষণাটি বলছে, টাক মাথার মানুষ অধিক সফল ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন। এদিকে জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব সারল্যান্ডের মনোবিজ্ঞানী রোনাল্ড হেনসের গবেষণা জানাচ্ছে, টাক মাথার ব্যক্তিদের বুদ্ধি ও জ্ঞান অন্যদের তুলনায় বেশি। তাঁর মতে, টাক মাথার পুরুষ দেখতে অধিক আকর্ষণীয় বটে, তবে হালকা টাক পড়া মানুষ কিন্তু ততটা আকর্ষণীয় নয়!

টাক বা ন্যাড়া মাথা নিয়ে আমাদের সমাজে যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেই পড়তে হয়

টাক বা ন্যাড়া মাথা নিয়ে আমাদের সমাজে যথেষ্ট বিড়ম্বনাতেই পড়তে হয়। ‘টাকলু’, ‘চান্দু’, ‘ফুটবল মাঠ’, ‘ঠুল্লা’—কত রকম অবজ্ঞা-উপহাস যে সইতে হয়, তার হিসাব নেই। অথচ ন্যাড়া মাথাও যে একধরনের সৌন্দর্য, তা যেন আমরা ভুলেই যাই। টাকের সঙ্গে শারীরিক সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব ও স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের মাথায় টাক আছে, তাঁদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কম। তাঁদের দেহের বিপাকীয় কার্যক্রম ভালো হয়ে থাকে। টাকের সঙ্গে যোগ আছে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন হরমোনের, যা পুরুষের যৌনক্ষমতা উন্নত করে। বোধ হয়, নিবিড় সম্পর্ক আছে অর্থকড়ির সঙ্গেও। অধিকাংশ টাকাওয়ালা মানুষই টাকওয়ালা। টেকো লোকদের আত্মবিশ্বাস, ব্যবসায়িক বুদ্ধি ও নেতৃত্বগুণ অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি।

আজ ১৪ অক্টোবর, টাক হোন, মুক্ত থাকুন দিবস (বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে)। মানুষের মাথা ন্যাড়া করার ইতিহাস বহু পুরোনো। প্রাচীন রোম ও মিসরের ধর্মগুরুরা মাথা ন্যাড়া করতেন। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে সাধারণ লোকজনও মাথা ন্যাড়া করত। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ন্যাড়া হওয়াটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়ায়। ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দিলে অনেকের মাথার চুল ঝরে যায়। ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি জানাতে নানা সময় নানা দেশে মাথা ন্যাড়া করার প্রচলন হয়। বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে উদ্‌যাপন তেমনই একটি প্রচার। গত শতাব্দীর আশির দশকে টমাস ও রুথ রয় দিবসটি চালু করেন।

সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার