সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বড় ভাইকে দেখে কোডিং প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহ। সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দেবজ্যোতি দাশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে (আইওআই) অংশ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল তার। সেখান থেকেই প্রোগ্রামিংয়ের সমস্যা সমাধানচর্চার শুরু।
অনলাইনে প্রোগ্রামিংয়ের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য কোডফোর্সেসের বেশ সুনাম আছে। এই ওয়েবসাইটে রেটিং অনুযায়ী প্রোগ্রামারদের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়। যেমন ১ হাজারের কম রেটিং যাঁদের, তাঁদের বলা হয় নিউবি। রেটিং ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০-এর মধ্যে হলে বলা হয় পিউপল। দেবজ্যোতি জানাল, প্রতিটি টাইটেলের জন্য আলাদা রং নির্ধারণ করা আছে। নিউবির রং যেমন ধূসর, পিউপলের সবুজ। এভাবে কারও রেটিং যদি ২ হাজার ৪০০ হয়, তাঁর প্রোফাইলের রং হয়ে যায় লাল। লাল থেকেই রেডকোডার। গত ১১ জুলাই এক প্রতিযোগিতা শেষে দেবজ্যোতির রেটিং ২ হাজার ৩৭২ থেকে ২ হাজার ৪৬৭-এ দাঁড়ায়। সে পৌঁছে যায় গ্র্যান্ডমাস্টার স্তরে।
দেবজ্যোতিকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী রেডকোডার। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে সে। এ প্রসঙ্গে দেবজ্যোতি বলে, ‘বাংলাদেশ থেকে আমার আগে অনেকেই গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছেন। তাঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন। একমাত্র তাসমীম রেজা ভাই ব্যতিক্রম। তিনি রেডকোডার হয়েছিলেন একাদশ শ্রেণিতে। আমি সেখানে দশম শ্রেণিতে হলাম। সবচেয়ে কম বয়সী রেডকোডার হওয়ার অনুভূতি অবশ্যই অন্য রকম।’
সমস্যা সমাধান করার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পায় এ তরুণ। ছোটবেলা থেকেই এটি উপভোগ করত। চার বছরে প্রোগ্রামিং-সংক্রান্ত তিন হাজার সমস্যা সমাধান করেছে সে। অর্থাৎ প্রতিদিন তাঁকে গড়ে দুটি করে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে দেবজ্যোতি জানাল, ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে (আইওআই) স্বর্ণপদক জিততে চায়। কোডফোর্সেসে ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার ইচ্ছাও তার রয়েছে। লক্ষ্য পূরণে ধারাবাহিক চর্চা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করে।