যেখানে–সেখানে লেজার চিকিৎসা নয়

কসমেডিকা লেজার ক্লিনিকের সিইও ও পরামর্শক ডা. ফারহানা ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

নিজের যত্নে মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। রাতজাগাসহ নানা কারণে চোখের নিচে কালচে দাগ পড়লেও অনেকে চিন্তায় পড়ে যান। কারও চিন্তা আবার ডাবল চিন বা জোড়া থুতনি। কারও মনঃকষ্টের কারণ পাতলা ঠোঁট। এসব সমস্যারই কার্যকর সমাধান দিতে পারে লেজার ও অ্যাস্থেটিক চিকিৎসাপদ্ধতি। ত্বকে নানা রকম পরিবর্তন আনতেও তাই ছুরি–কাঁচির বদলে অনেকে ভরসা করছেন লেজারপদ্ধতি। কারণ, এই পদ্ধতিতে কোনো রকম কাটাছেঁড়া না করেই কসমেটিক সার্জারি করে ফেলা যায়। বাংলাদেশের অনেক চিকিৎসকই এখন উন্নত এই চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করছেন। একাধিক ক্লিনিকেই এখন এসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।

পোড়া দাগ, কাটা দাগ, শ্বেতি, আঁচিলসহ অমসৃণ ত্বক মসৃণ করতেও লেজার চিকিৎসা কার্যকর

বোটক্স বা হাইড্রা ফেসিয়ালের মতো অনেক সেবা নিতে কেউ কেউ বিউটি পারলারে যান। যেখানে তুলনামূলক কম টাকায় নিম্নমানের পণ্যে এই সেবা দেওয়া হয়। যেটা একেবারে অনুচিত। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছাড়া এসব সেবা নিয়ে অনেকেই পরে ত্বকের নানা জটিলতা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। তখন সেসব মানুষকে মানসিকভাবে চাঙা করে তোলাও একটি কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। অনেকে এসে বলেন, ‘আমি অমুক তারকার মতো সুন্দর হতে চাই।’ এমন সেবাগ্রহীতাকে আগে বোঝাতে হয়, সুন্দর মানেই ফর্সা হওয়া নয়।

পোড়া দাগ, কাটা দাগ, শ্বেতি, আঁচিলসহ অমসৃণ ত্বক মসৃণ করতেও লেজার চিকিৎসা কার্যকর। চোয়ালের গঠন, কপালের ভাঁজ, গলার চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো থেকেও মুক্তি দেয় লেজার চিকিৎসা। তবে এসব চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

ডা. ফারহানা ইসলাম, সিইও ও পরামর্শক, কসমেডিকা লেজার ক্লিনিক