সচেতনতা তৈরি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একদল ছাত্র। কী অভিজ্ঞতা হলো সেখানে? লিখেছেন দিপ্ত বিশ্বাস
প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) সহযোগিতায় দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতে সচেতনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চালানো হয়। অংশ নিয়েছিলাম আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছয় শিক্ষার্থীও—আমি, মো. জুবায়ের, আবদুল হালিম মির্জা, মো. রাকিব, মো. নুর উদ্দীন ও মো. রাজিব মিয়া। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর রহমানের সফরসঙ্গী হই আমরা। শুরুতে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্লাস্টিক দূষণের সচেতনতামূলক একটি সেমিনার ও মতবিনিময় সভা হয়। এরপর পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমরা আরও একটি মতবিনিময় সভা করি। স্থানীয় জনগণ, দোকান মালিক ও ক্রেতাদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কথা বলি।
মূলত পাট, কাগজ ও কাপড়জাত দ্রব্য ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাই আমরা তাঁদের বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পরদিন ১৯ নভেম্বর সকালে কুয়াকাটা সৈকতের ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাই। দূষণের ভয়াবহতা সেখানে এতটাই বেশি ছিল যে আড়াই ঘণ্টায় ছয় কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত থেকে ৩২৩ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য উদ্ধার হয়। এসব বর্জ্যের মধ্যে ছিল ফুড প্লাস্টিক (রাপ্যার), পলিথিন, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক, বোতল, সিগারেট প্যাকেট, পরিত্যক্ত জাল, প্রসাধনী পণ্যের কৌটা, ই-বর্জ্য, ইত্যাদি। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথনেট বরিশাল ও অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালী আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।