শামীমের ভাবনায় পরিবেশ ও জলবায়ু

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছে প্রিন্সেস ডায়ানার নামে প্রতিষ্ঠিত একটা দাতব্য সংস্থা। ন্যূনতম এক বছর কোনো মানবিক কাজ করেছেন এবং বয়স ৯-২৫ বছরের মধ্যে, এমন উদ্যমী তরুণদেরই কেবল দেওয়া হয় এই পুরস্কার। গত ১ জুলাই ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো এই বছরের প্রাপকদের নাম। বিশ্বের নানা দেশের উদ্যমী তরুণদের পাশাপাশি তালিকায় বাংলাদেশি আট তরুণ ‘চেঞ্জমেকার’-এর নামও আছে। পড়ুন এই আট তরুণের একজনের গল্প।

শামীম আহমেদ মৃধা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর একটা বাংলাদেশ। তাই জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ে সবাইকে সচেতন করার কথা ভেবেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ মৃধা। গড়ে তুলেছেন ‘ইকো নেটওয়ার্ক‘। সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত আছেন দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ পড়াশোনা করছেন পরিবেশবিজ্ঞান নিয়ে, আবার অনেকেই আছেন কেবল পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বলে। এই শিক্ষার্থীরা তাদের এলাকায় এবং স্কুলগুলোয় সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং কর্মশালা পরিচালনা করছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়; নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ মোট ২৩টি দেশে জলবায়ু সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে ইকো নেটওয়ার্ক।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনলাইন এবং অফলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছেছে ইকো নেটওয়ার্ক। এখন যেসব প্রকল্প চলমান, তার মধ্যে অন্যতম ‘ক্লাইমেট স্কুল’ এবং ‘মিশন গ্রিন বাংলাদেশ’। দ্বিতীয় প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া কাজ করছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গেও।

পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইকো নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আহমেদ মৃধা। বললেন, ‘এটা একটা বড় স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি আরও অনেককে পরিবেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’