বাংলাদেশের ক্রিকেট ম্যাচ দেখা মানে আপনার কাছে কী? কেউ কেউ বলবেন, এটা অনেকটা রোলার কোস্টারে চেপে বসার মতো এক ব্যাপার। অনেকের কাছে ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে’ ধরনের বিষয়। বাংলাদেশের ম্যাচের আগে–পরে আমরা যে আচরণ করি, তাতে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দারুণভাবে ফুটে ওঠে। কেননা এই আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিতান্তই অকপট। তাই আসুন, বাংলাদেশের ক্রিকেট–ভক্ত হিসেবে যাচাই করে দেখা যাক, আপনার মানসিক শক্তি কেমন...
ক. খানিকটা উদ্বিগ্ন থাকেন (৬)
খ. ম্যাচ উপভোগের ভাবনায় মনটা ফুরফুরে থাকে (১০)
গ. আজ যে খেলা আছে, তা আপনি বুঝতে পারেন অন্য কেউ খেলা দেখতে বসলে (০)
ঘ. দুশ্চিন্তা আপনার হাতের তালু ঘামতে থাকে; মাথা, ঘাড় কখনো কখনো বুকেও ব্যথা হয়; কোনো কাজেই মন বসে না (৩)
ক. সংবাদমাধ্যমে মাঠ, পিচ, ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বারবার খোঁজখবর নেন (৩)
খ. নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন (০)
গ. অবসরে ম্যাচ–পূর্ববর্তী খোঁজখবর নেন (৮)
ঘ. ম্যাচ হবে, খেলা উপভোগ করব—ব্যস এতটুকুই ভাবেন (১০)
ক. আর দশটা দিনের মতো ব্যবহার করেন, ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট সবকিছু এড়িয়ে চলেন (০)
খ. উত্তেজনার বশে ক্রিকেট নিয়ে কখনো কখনো ৪–৫টি স্ট্যাটাসও দিয়ে বসেন (২)
গ. বিভিন্ন ক্রিকেট গ্রুপে ঢুঁ মেরে বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ দর্শকের আলাপ–আলোচনা দেখেন (৬)
ঘ. ক্রিকেট দলকে শুভকামনা জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন, না দিলেও এ–বিষয়ক পোস্ট লাইক–কমেন্ট–শেয়ার করেন (১০)
ক. অন্যের সঙ্গে আলাপ না হলেও ম্যাচ কেমন হবে, এ ব্যাপারে নিজে একটা ধারণা পোষণ করেন (৬)
খ. আলাপ–আলোচনায় ক্রিকেটের ‘ক’–ও থাকে না (০)
গ. ক্রিকেট নিয়ে আলাপ–আলোচনা হলে নিজের সুচিন্তিত মতামত জানান, অন্যের মতামত শোনেন (১০)
ঘ. সকাল থেকে ক্রিকেট নিয়েই আলাপ করেন, অনেকের সঙ্গে ঝগড়াও লেগে যায় (২)
ক. খেলা দেখেন না, নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন (০)
খ. সব কাজ ফেলে টিভির সামনে বসেন বা স্টেডিয়ামে চলে যান; তখন জগৎ একদিকে ক্রিকেট আরেক দিকে (৩)
গ. কাজ শেষ হলে টিভির সামনে বসেন, হাতের কাজ শেষ না হলে মাঝেমধ্যে টিভিতে উঁকি মারেন বা ওয়েবসাইটে আপডেটে চোখ রাখেন (১০)
ঘ. একটানা বসে পুরো ম্যাচ দেখেন না, মাঝেমধ্যে আপডেট জেনে নেন (৬)
ক. মনটা বেশ ফুরফুরে থাকে, উপভোগ করতে থাকেন (১০)
খ. পরের বলটায় কোনো অঘটন ঘটবে, এই আশঙ্কায় তটস্থ থাকেন (৩)
গ. মাঝেমধ্যে টিভির সামনে এসে অন্যদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ‘ভালোই তো’ বলেন (০)
ঘ. ক্রিকেটারদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন, ভালো করলে প্রশংসা করেন (৮)
ক. একেবারেই মাথা ঘামান না কিংবা মাঝেমধ্যে টিভির সামনে এসে ‘ধুর, এসব দেখে সময় নষ্ট’ বলেন (০)
খ. ক্রিকেটারদের গালাগালি করেন কিংবা আশপাশের লোকজনের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন; মাথা, ঘাড়, পেট এমনকি বুকেও ব্যথা হয় (৩)
গ. ধৈর্য ধরে শেষটা দেখতে চান (১০)
ঘ. পুরো ম্যাচ দেখবেন বলে বসলেও টিভির সামনে থেকে উঠে নিজের কাজ করেন (৬)
ক. দুনিয়ার সবকিছুই ভালো লাগে বলে নাচতে ইচ্ছে করে, উত্তেজনার বশে কখনো কখনো উল্টাপাল্টা কর্মকাণ্ডও করে বসেন (৩)
খ. বেশ ভালো লাগে (৮)
গ. খবরটা শোনেন, বিশেষ কোনো অনুভূতি কাজ করে না (০)
ঘ. পরিবার, বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে আনন্দময় সময়টা ভাগাভাগি করেন (১০)
ক. ‘ধুর, ওরা তো হারবেই’ বলেন (০)
খ. মন খারাপ হয়, তবে মুষড়ে পড়েন না (৮)
গ. খেলায় হারজিত থাকবেই, মন খারাপের কিছু নেই—এমনটা ভাবেন (১০)
ঘ. পাগল হওয়ার দশা হয়; কেঁদে ফেলেন; শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন; বাস্তবে এবং ভার্চ্যুয়াল জগতে ঝগড়াঝাঁটি বা অস্বাভাবিক আচরণ করেন (৩)
ক. আশাবাদী হন (১০)
খ. আজকের ম্যাচের ভুলত্রুটি নিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করেন, সংবাদমাধ্যমে বিশ্লেষণে চোখ রাখেন (৮)
গ. খেলা নিয়ে আপনার মাথাব্যথা নেই (০)
ঘ. পরের ম্যাচ আর দেখব না, এমনটা ভাবেন (৩)
প্রতিটি উত্তরের নম্বর যোগ করে ১০ দিয়ে ভাগ করুন। প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী মিলিয়ে দেখুন আপনার মানসিক শক্তি—
০–২: ক্রিকেট নিয়ে আপনার কোনো আগ্রহ নেই। ফলে ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট মানসিক শক্তির এই যাচাইয়ে আপনাকে কোনো দলভুক্ত করা যাবে না। তবে ক্রিকেটে আগ্রহ না থাকা মোটেও নেতিবাচক কিছু নয় কিন্তু।
৩–৫: আপনি ভীষণ আবেগপ্রবণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে একেবারে অকপট। দুঃখ–কষ্টের প্রকাশ করতে পারেন বলে তা এক অর্থে ভালো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি বাস্তববাদী নন। কখনো কখনো নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
৬–৭: ক্রিকেট নিয়ে আপনারও আবেগ আছে, আবার খানিকটা বাস্তববাদীও। মাঝেমধ্যে হতাশা পেয়ে বসলেও তা কাটিয়ে ওঠার শক্তি রাখেন। হেরে গেলেও আপনার চোখ থাকে ভবিষ্যতে। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন।
৮–১০: আপনার মানসিক শক্তি রীতিমতো ঈর্ষণীয়! এমন মানসিক শক্তি খুব কম ক্রিকেট–ভক্তেরই থাকে।