প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা নিয়মিত করতে গিয়ে মনের অজান্তে চিড় ধরে নিজের আত্মবিশ্বাসে
প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা নিয়মিত করতে গিয়ে মনের অজান্তে চিড় ধরে নিজের আত্মবিশ্বাসে

এসব বদভ্যাসে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন না তো?

আত্মবিশ্বাস যেমন এক দিনে গড়ে ওঠে না, তেমনি এক দিনে এটি ভাঙেও না; বরং ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে আত্মবিশ্বাস। প্রাত্যহিক জীবনে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা নিয়মিত করতে গিয়ে মনের অজান্তে চিড় ধরে নিজের আত্মবিশ্বাসে। এমন অভ্যাস আপনার নেই তো?

নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষের সঙ্গে বসবাস

নেতিবাচক চিন্তাধারার মানুষজন সব সময় মানুষের নেতিবাচক দিকে বেশি মনোযোগ দেন। মানুষের ভুলত্রুটি, খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। দৈনন্দিন জীবনের হতাশা-ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলা মানুষদের সঙ্গে বেশি সময় কাটালে আপনার সময়ও হতাশা-ব্যর্থতার দোলাচলে আটকে যাবে। তাই ইতিবাচক মানসিকতার লোকজনের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য

ছোটবেলায় ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ রচনায় অনেকেই লিখেছেন, লক্ষ্যবিহীন জীবন মাঝিবিহীন নৌকার মতো। সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য না থাকলে জীবনে এগিয়ে চলা বেশ মুশকিল। কিন্তু তাই বলে একেবারে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য তৈরি করতে যাবেন না যেন। উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য যেমন আপনাকে কাজে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে, তেমনি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে তা আত্মবিশ্বাসেও বেশ বড় আঘাত হানে।

উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য তৈরি না করে ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করুন, সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করুন। এতে করে কাজ যেমন হবে, তেমনি আত্মবিশ্বাসী ও মানসিকভাবে চাঙা থাকবেন নিয়মিত।

অন্যের সঙ্গে তুলনা

ছোটবেলা থেকেই অন্যের সঙ্গে তুলনা দেওয়ার ব্যাপারে বেশ পারদর্শী ছিলেন গুরুজনেরা। এতে ছোটবেলা থেকে সবার মনে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা বাসা বাঁধে। বড় হয়ে যা প্রভাব ফেলে ব্যক্তি ও কর্মজীবনে। সবার জীবন একভাবে এগোয় না। প্রত্যেকের জীবন প্রত্যেকের থেকে আলাদা।

তাই তুলনা হওয়া উচিত কেবল নিজের সঙ্গে। অন্যের সঙ্গে তুলনা করে পিছিয়ে না পড়ে নিজের সঙ্গে নিজের তুলনা করুন। দেখবেন নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরে নিজেরই আনন্দ হচ্ছে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।

সব সময় নিজের সমালোচনা করা

আত্মসমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের কাজে উন্নতি করতে চাইলে আত্মসমালোচনার কোনো বিকল্প নেই। তাই বলে প্রতিটি কাজে নিজের ভুলগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করবেন না। কখনো কখনো অতিরিক্ত আত্মসমালোচনা হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত আত্মসমালোচনা নিজের ভালো কাজও আড়ালে ঠেলে দেয়। মনে হতে থাকে প্রতিবারই শুধু ভুল করে চলছি। সব সময় নিজের সমালোচনা না করে নিজের ভালো কাজকেও কিছুটা মূল্যায়ন করুন।    

ব্যর্থতার ভয়

সফলতা-ব্যর্থতা মিলিয়ে এই জীবন। কোনো কাজ করতে গেলে সফল যেমন হতে পারবেন, তেমনি ব্যর্থতাও কড়া নাড়তে পারে দরজায়। তাই বলে থেমে থাকা চলবে না। ব্যর্থতার ভয় না পেয়ে সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করুন শক্ত হাতে।


তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস