আমাদের যেমন নিয়ম মেনে রোজ খাবার খেতে হয়, গাছের বেলায়ও তা-ই। কিন্তু সব গাছের খাদ্যচাহিদা সমান না। কোনো কোনো গাছের পানি শোষণক্ষমতা বেশি, প্রতিদিনই পানি দেওয়া প্রয়োজন।
আবার কোনো গাছের পানি শোষণক্ষমতা কম, প্রতিদিন পানি না দিলেও হবে। টবের মাটি শুঁকিয়ে এলে তবেই পানি দেওয়া প্রয়োজন। কেননা গাছ মারা যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি। টবে অতিরিক্ত পানি জমে গাছের শিকড়ে পচন ধরতে পারে। এই পচন থেকে একটা সময় গাছ মারাও যেতে পারে। এ জন্য পানি যেন জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
গাছের পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়তে থাকলে বুঝে নেবেন যে অতিরিক্ত পানি দিয়ে ফেলেছেন। তৎক্ষণাৎ পানি দেওয়ার মাত্রা কমিয়ে আনুন। প্রয়োজনে পানি দেওয়া বন্ধ করে সরাসরি সূর্যালোকে রাখুন। সহজে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্রযুক্ত টবের ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
ঢালাওভাবে সব গাছে সমানতালে পানি না দিয়ে গাছের ধরন বুঝে পানি দিন। খরাসহনশীল ক্যাকটাস, স্নেক প্ল্যান্ট এবং জেড প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে মাটি সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে এলে তবেই পানি দিন। অন্যদিকে ফার্নজাতীয় গাছ স্যাঁতসেঁতে মাটি পছন্দ করে। ফলে মাটিতে একটু ভেজা ভাব থাকতেই পারে। আবার কিছু গাছ তো এমনও আছে, যেগুলো স্রেফ বোতলের পানিতেই দিব্যি বেঁচে থাকে। যেমন লাকি ব্যাম্বু, পাথোস বা মানিপ্ল্যান্ট। এই গাছগুলোর পানিতে ডুবে মরার আশঙ্কা কম। শুধু সপ্তাহে এক দিন পুরোনো পানি বদলে নতুন পানি যোগ করে নিলেই হলো।