গরমে অতিষ্ঠ মানুষ খুঁজছে পরিত্রাণের পথ। তবে জীবনধারার সাধারণ রদবদলেও গরমের তীব্রতা কম অনুভূত হবে। জেনে রাখুন কিছু নিয়ম—
এম অ্যান্ড এস ইন্টেরিয়র সলিউশনের অন্দরসজ্জাবিষয়ক পরামর্শক মুমানা ইসলাম জানালেন অন্দরের জন্য তিনটি উপায়—
পশ্চিমের রোদের সঙ্গে আড়ি
পশ্চিমের জানালায়, বারান্দায় গাছ রাখুন। লতানো গাছ ছড়িয়েও দিতে পারেন। রোদের সময় সাদা পর্দা মেলে দিলে রোদের প্রতিফলন হবে বাইরেই। সানব্লকও ভালো।
ছোট ছোট জলাধার
গরমে পানি বাষ্প হয়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় তাপ খরচ হয়, যা আসে পরিবেশ থেকেই। ফলে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হয়।
অন্দরে ছোট ছোট জলাধার রাখুন, জলের উপযোগী গাছও রাখুন। কৃত্রিম ঝরনাও রাখা যায়।
বারান্দার জলাধারে পাখি পানি খাবে, সুযোগে জলকেলিও করবে। নিচতলায় পথপ্রাণীদের জন্য পানির পাত্র রাখুন।
৭২ ঘণ্টার আগেই জমাট পানি বদলে দিন। নইলে জন্মাবে মশা।
অন্দরের আরও অনুষঙ্গ
গাছপালা, শীতলপাটি এবং বাঁশের চিকে পাবেন প্রশান্তি।
বিছানার চাদর বা বালিশের কভারের মতো যেসব অনুষঙ্গ দেহের সংস্পর্শে আসে, সেগুলো হোক আরামদায়ক সুতি কাপড়ের এবং হালকা রঙের।
রাতে বেশিক্ষণ বাতি জ্বালিয়ে না রেখে ভোরের স্নিগ্ধ সময়ে কাজকর্ম করুন।
ঢাকার গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান জানালেন, খাওয়ার পর বিপাক হার বাড়ে বলে বেশি গরম লাগে। তাই এমন খাবার খেতে হবে, যা সহজপাচ্য, অর্থাৎ যা খেলে বিপাক হার তেমন বাড়ে না।
যা খেতে পারেন :
এমন সবজি, যার ভেতরটা সাদা (যেমন লাউ, পেঁপে, ঝিঙা, চিচিঙ্গা)।
ডাঁটা দিয়ে ছোট মাছের ঝোল।
সবজি, ডাল, ছোট মাছ বা চিংড়ি দিয়ে ঝোল করে রান্না শাক।
টক দই ও এর তৈরি খাবার।
পুদিনাপাতা দেওয়া খাবার।
এ ছাড়া মৌসুমি ফল খান। পানি এবং ঘরে তৈরি পানীয় (যেমন ফলের রস) খান। রান্না হোক কম মসলায়, রাখুন পাতলা ঝোল। ডালও হোক পাতলা, হালকা টক।
অনলাইন উদ্যোগ হেনা’স ক্লোসেট বাই রিফাত রেজার ডিজাইনার রিফাত রেজা পরামর্শ দিলেন নরম, সুতি কাপড়ের তৈরি, একটু ছোট হাতার ঢিলেঢালা পোশাক পরার। গলা ও হাতের কাটে স্বাচ্ছন্দ্য আনুন। ভি বা বোট শেপ কিংবা গোল গলার পোশাকে থাকতে পারে বেল আকৃতির হাতা। নতুন কাপড়ে মাড় থাকলে ধুয়ে পরুন। সাদা বা প্যাস্টেল রঙের একরঙা কাপড় পরতে পারেন, যাতে খুব একটা কারুকাজ নেই।