ফুটবল বিশ্বকাপে কয়েক ঘণ্টা পরই লিওনেল মেসিরা খেলতে নামবেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ২০২২ সালের এই বিশ্বকাপ দিয়েই হয়তো শেষ হবে মেসির বিশ্বকাপযাত্রা। তবে সেটা আজকের ম্যাচ নাকি পরের ম্যাচের মধ্য দিয়ে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তার আগে বরং জেনে নিই মেসির ব্যায়াম আর খাবার নিয়ে।
লিওনেল মেসির মাঠের সাফল্য সবাইকে চমকে দেয়। সম্প্রতি গোল ডটকম জানিয়েছে, মেসির ফিটনেস ও খাবারের বিশদ তথ্য। সেখান থেকে জানা গেল, মেসি খুব সাধারণভাবে তাঁর কোচদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্কআউট ও পুষ্টির নিয়মকানুন অনুসরণ করেন।
পিনাটা ম্যাগাজিনের ভাষ্য, লিওনেল মেসি গতিশীলতায় বেশি গুরুত্ব দেন। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেন এই তারকা। গতিশীলতার জন্য নিজের ব্যায়ামকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন মেসি। পিলার ব্রিজ-ফ্রন্ট, লাঞ্জেস, হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেসেস, পিলার স্কিপস তাঁর নিয়মিত ব্যায়াম। কোমর ও পায়ের মাংসপেশির গতিশীলতার জন্য মেসি হার্ডল হপ ও স্প্লিট স্কোয়াটস করেন নিয়মিত।
খেলার মাঠে আমরা মেসির যে জাদু দেখি, তা আদতে ব্যায়ামাগারে মেসির পরিশ্রমেরই ফসল। ব্যায়ামাগারে বেশ সময় দেন তিনি। পিলার স্কিপস, স্কিপিং রোপস আর স্কোয়াটের মাধ্যমে মেসি পুরো শরীরের কলকবজা সমন্বয় করেন। নিয়মিত ব্যায়ামের পরে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে মেসি পানি খান পরিমাণমতোই।
মেসি নিয়মমতো খাবারের তালিকা অনুসরণ করেন। মেসির সঙ্গে ইতালীয় পুষ্টিবিদ গিওলিয়ানো পোজার কাজ করেছেন ২০১৪ সাল থেকে। তাঁর পরামর্শে মেসি নিয়মিত পানি, অলিভ অয়েল, হোল গ্রেইন, তাজা শাকসবজির ওপর নির্ভরশীল। মেসিকে তাঁর পুষ্টিবিদ বাদাম ও বীজনির্ভর খাবার খেতেও পরামর্শ দেন। আর মেসি ও চিনি যেন দুই মেরুর বাসিন্দা। পুষ্টিবিদ গিওলিয়ানো পোজার জানান, চিনি মাংসপেশির জন্য খুব ক্ষতিকর। মেসি যত চিনি থেকে দূরে থাকেন, ততই মঙ্গল। রিফাইন্ড ময়দা এড়িয়ে খাঁটি গম খাওয়ার পরামর্শও মেনে চলেন মেসি।
আর্জেন্টাইন বা দক্ষিণ আমেরিকার অধিবাসীরা মাংস পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদ গিওলিয়ানো বলেন, আর্জেন্টাইন বা উরুগুয়ের অধিবাসীরা মাংস একটু বেশিই খায়। এত মাংস হজম করা কঠিন। মেসির প্রিয় খাবারের একটা রোস্টেড চিকেন। বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাব সমর্থকদের জন্য মেসির প্রিয় খাবারের রেসিপি প্রকাশ করেছিল একবার। এ ছাড়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, মেসি আর্জেন্টিনার স্থানীয় মিলানেসা খাবারটা দারুণ পছন্দ করেন। খাবারটি তৈরি করা হয় গোমাংস দিয়ে। আরেক ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট এএসের মতে, মেসি পিৎজাও খুব ভালোবাসেন। স্বাস্থ্যটা ঠিক রাখতে অবশ্য পিৎজা দেখে জিবটা সামলাতে হয় তাঁকে।
সূত্র: গোল ডটকম