মাহিন খানের একক প্রদর্শনীতে ছিল দেশীয় মোটিফের কাজ
মাহিন খানের একক প্রদর্শনীতে ছিল দেশীয় মোটিফের কাজ

প্রদর্শনী

মাহিন খানের একক প্রদর্শনীতে সিল্কের পোশাক

২৭, ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের নরডিক ক্লাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করেন মাহিন খান

রাজধানীর গুলশান লেন পার্কে ‘ম্যাজেসটিক সিল্কস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়েছিল গত বছরের ১২ নভেম্বর। একক সেই শোতে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও স্টুডিও মায়াসিরের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার মাহিন খান তুলে ধরেছিলেন সিল্ক কাপড় দিয়ে তৈরি রাজকীয় সব পোশাক। ২৭, ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর গুলশানের নরডিক ক্লাবে সেই পোশাকগুলো নিয়েই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন মাহিন খান।

প্রদর্শনীতে ফ্যাশন শোর ৫০টি পোশাকের বাইরেও বেশ কিছু পোশাক রাখা হয়েছিল। প্রতিটি পোশাকেই হাতে বোনা সুতার নিখুঁত কাজ। শাড়ি, জ্যাকেট এবং পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকগুলোতে জ্যামিতিক নকশা, জামদানির নকশা কিংবা কাঁথা স্টিচের ফোঁড়ের বাইরেও মাহিন খান করিয়েছেন জামদানির নকশা, জ্যামিতিক প্যাটার্ন, বিমূর্ত নকশা, ইনফিনিট (চলতে থাকে, শেষ হয় না—এমন) নকশা। তিনি জানালেন, ‘আমাদের দেশের লোকজ শিল্পের মোটিফ ব্যবহার করেছি। সুঁই-সুতা ব্যবহারে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এক বছর ধরে এই পোশাকগুলোর ওপর কাজ করা হয়েছে। অনেক গবেষণা করে আমাদের গোড়া বা শেকড়ের নকশাগুলো কাপড়ের ওপর নিয়ে এসেছি।’

প্রদর্শনীতে মাহিন খান

মূলত যশোর, জামালপুরের কারিগরদের নিয়ে কাজগুলো করেছেন মাহিন খান। ৮০টির মতো পোশাকের উপকরণ, রং, মোটিফ একদম প্রথমেই ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল। এরপর ডিজিটালভাবে ট্রেসিং পেপারের ওপর সেই নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। কাগজের ওপর আঁকা সেই নকশা কাপড়ের ওপর সুতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন প্রান্তিক কারিগরেরা। মাহিন খান বলেন, ‘এই কারিগরেরা খুবই দক্ষ। সংসারের কাজের মাঝে মাঝে আমার এই পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তুলেছেন।’ একেকটি পোশাকে একাধিক মানুষ কাজ করেছেন বেশ কয়েক মাস ধরে। আধুনিক, কার্যকর, পরিবেশবান্ধব ও সময়োপযোগী এই পোশাকগুলো স্টুডিও মায়াসিরে পাওয়া যাবে।