গ্রীষ্মকালে আম না খেলে গরম যেন জমেই না। অনেকেই একে বলেন ‘ফলের রাজা’। তবে কয়েক জাতের আম আছে, যেগুলো কেবল নামে নয়, দামেও রাজা। দামি ফল হিসেবে সেগুলোর কদর সারা দুনিয়ায়। জেনে নিন তেমনি দামি সাত জাতের আমের কথা।
গ্রীষ্মকালে আম না খেলে গরম যেন জমেই না। খেতে যেমন মজা, তেমনি রসাল। আর দেখতেও কী সুন্দর! সব মিলিয়ে অনেকেই একে বলেন ‘ফলের রাজা’। তবে কয়েক জাতের আম আছে, যেগুলো কেবল নামে নয়, দামেও রাজা। খেতে গেলে টাকা খরচ করতে হয় কাঁড়ি কাঁড়ি। দামি ফল হিসেবে সেগুলোর কদর সারা দুনিয়ায়। জেনে নিন তেমনি দামি সাত জাতের আমের কথা।
ভারতের এই বিখ্যাত আমের নামকরণ করা হয়েছে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূরজাহানের নামে। আকারে হয় বিশাল। একেকটার দাম পড়ে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত।
মুর্শিদাবাদের এই আম গাছে পাকলেই স্বাদ বদলে যায়। তাই পাকার দেড়-দুই দিন আগে পেড়ে রাখতে হয় সযতনে। দুই-তিন ঘণ্টা পরপর উল্টেপাল্টে দিতে হয়। তাই দামটাও হয় চড়া। একেকটাই প্রায় দেড় হাজার টাকা।
এই জাতের আম হয় পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। বিখ্যাত এই আমকে অনেকেই বলেন ‘আমের রানি’। আমগুলো দেখতে যেমন বড়, স্বাদেও তেমন মিষ্টি। একেকটার দাম ওঠে চার হাজার টাকা পর্যন্ত।
সবচেয়ে মিষ্টি জাতের আম হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছে ফিলিপাইনের এই আম। ‘কারাবাও’ নামেও পরিচিত। একেকটা আমের দাম হয় দেড় হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
পর্তুগিজ জেনারেল আলফনসো দ্য আলবুকার্কের নামকে ধারণ করে রাখা এই জাতকে বলা হয় ‘আমের রাজা’। মূলত হয় মহারাষ্ট্রের কঙ্কান অঞ্চলে। সেখানে ডাকা হয় ‘হাপুস’ নামেও। এখন হচ্ছে বাংলাদেশেও। প্রতি ডজন আমের দাম হয় তিন থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত।
জাপানি এই নামের অর্থ ‘তুষারে সূর্য’। রীতিমতো গ্রিন হাউজে উৎপাদন করতে হয় এই আম। তাপমাত্রা রাখতে হয় শূন্যের ৮ ডিগ্রি নিচে। একেকটার দাম পরে ২৫ হাজার টাকার ওপরে।
জাপানি এই আমের রং বেগুনি। সম্প্রতি বাংলাদেশেও চাষ শুরু হয়েছে, খাগড়াছড়িতে। বাংলায় নাম দেওয়া হয়েছে সূর্যডিম। বিশ্ববাজারে প্রতি কেজির দাম চার লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল!
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া