মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী দেশের শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানমনস্ক তরুণদের জন্য আজ (১৫ ডিসেম্বর) ছিল রোমাঞ্চকর দিন। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসেছিলেন স্বয়ং নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে হাজির হয়েছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এ আয়োজনে।
কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভূতত্ত্ববিদ হয়েও কীভাবে দেখলেন মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন?’ ভিডিও দেখে কেউ জানতে চাইলেন, ‘মহাকাশযানে ছুড়ে মারা পিৎজা ভাসছে, কিন্তু টপিংস পড়ে গেল না কেন?’ আরেকজনের প্রশ্ন, ‘মহাকাশে কাঁদলে পানি কি বাবল হয়ে মুখের সঙ্গে লেগে থাকে?’
কানায় কানায় পরিপূর্ণ মিলনায়তনে মহাকাশে দিনযাপনের গল্প শুনিয়েছেন মার্কিন নভোচারী আকাবা। ভিডিওতে দেখিয়েছেন মহাকাশযানে ঘটে যাওয়া নানা কাজকারবার। আয়োজনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল উপভোগ্য, অন্তত আকাবায় বুঁদ হয়ে থাকা দর্শককে দেখে তা-ই মনে হয়েছে।
আয়োজনের এক পর্যায়ে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। আকাবার দিকে ছুড়ে দেওয়া প্রশ্নগুলোও ছিল মজার। কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভূতত্ত্ববিদ হয়েও কীভাবে দেখলেন মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন?’ ভিডিও দেখে কেউ জানতে চাইলেন, ‘মহাকাশযানে ছুড়ে মারা পিৎজা ভাসছে, কিন্তু টপিংস পড়ে গেল না কেন?’ আরেকজনের প্রশ্ন, ‘মহাকাশে কাঁদলে পানি কি বাবল হয়ে মুখের সঙ্গে লেগে থাকে?’ মজার প্রশ্নে মজা করেই উত্তর দিলেন আকাবা। মজার মজার উত্তর ও মহাকাশে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন ‘স্বপ্ন নিয়ে’র আগামী সংখ্যায়।
আয়োজনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আকাবার মুখোমুখি হতে পেরে আনন্দিত, হয়েছেন অনুপ্রাণিত। এ ধরনের অনুপ্রেরণা জরুরিও বটে। কারণ, সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশি হবু বিজ্ঞানীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। গত কয়েক বছরে আন্তর্জান্তিক মহাকাশকেন্দ্র থেকে আয়োজিত ‘কিবো রোবট প্রোগ্রামিং চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতা ও ‘নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’-এ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতায় নিয়মিতই ভালো করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলো। অর্জন করেছে প্রথম স্থানও।