ওজন কমানোর জন্য শুরুতেই অবাধ খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কাজটি কঠিন। অনেকের আবার যখন-তখন খাওয়ার অভ্যাস থাকে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেও সমস্যা হয়। অনেকে কম খাওয়া হবে ভেবে নানা রকম স্ন্যাকস খেতে থাকেন। দিন শেষে দেখা যায়, নানা রকম স্ন্যাকস খাওয়ার কারণে ভাতের চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হয়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এমন একটি স্ন্যাকস পপকর্ন। এতে একেবারেই ক্যালরি বাড়ে না। আবার পেট ভরা থাকে অনেক সময়।
কম ক্যালরি, স্বাস্থ্যকর ও আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় পপকর্ন তাই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যাঁরা কম কার্ব ডায়েট অনুসরণ করেন, তাঁদের জন্যও এটি চমৎকার খাবার।
পপকর্ন খাওয়ার সঠিক উপায়
পপকর্ন নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর, তবে ওজন কমানোর ডায়েট পরিকল্পনায় এটি যোগ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অন্য যেকোনো খাবারের মতোই, একবারে অত্যধিক পপকর্ন খাওয়া ঠিক নয়। এ ছাড়া পপকর্ন কীভাবে তৈরি হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। রেস্তোরাঁ এবং মাল্টিপ্লেক্সে যেগুলো পরিবেশন করা হয়, সেগুলোতে মাখন ও লবণ মাখানো থাকে, দুটি উপাদানই ওজন বাড়িয়ে দেয়। ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় এয়ার-পপড পপকর্ন খাওয়া উচিত।
পপকর্নের পুষ্টিগুণ
এক কাপ এয়ার-পপড পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া এটি প্রোটিন, ফাইবার, ফোলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, ভিটামিন বি, এ, ই এবং কে-এর মতো অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। পপকর্ন পনিফেনলযুক্ত খাবার। এর সঙ্গে তুলনা করা যায় বেরি ও চায়ের। কারণ, এই দুটি খাবারেও এই একই যৌগ মেলে। যার কারণে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। একই সঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। পপকর্ন গোটা শস্য। ফলে এই খাবারে ফাইবার, মিনারেল, জটিল কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের পরিমাণ প্রচুর।
আরও অনেক উপকারিতা
পপকর্ন পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
পপকর্নে ফাইবারের পরিমাণ খুব বেশি থাকার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ডায়েটে ১ কাপ ঘরে তৈরি পপকর্ন রাখতে পারেন।
এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায় এবং চোখ ভালো রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পপকর্ন রক্তে ফ্রি-র্যাডিক্যালসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা চুল পড়া, আলঝাইমারসের মতো বয়সকালীন সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে।