পেস্তো নামের পেঙ্গুইন ছানাটির বয়স এখন আট মাস। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ‘সি লাইফ’ অ্যাকোরিয়ামের পেঙ্গুইন কলোনিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকে ও। তবে এরই মধ্যে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছে। তাকে দেখতে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ। পেস্তোর সুবাদে পেঙ্গুইনদের জীবনযাপন নিয়েও নেটিজেনদের মধ্যে বেশ চর্চা হচ্ছে।
পেস্তো ‘কিং’ প্রজাতির পেঙ্গুইন। গত ৩১ জানুয়ারি তার জন্ম। এখনো তার গাজুড়ে ছেলেবেলার বাদামি পালক। উচ্চতা, ওজন আর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে সে ‘সি লাইফ’ অ্যাকোরিয়ামের অন্য পেঙ্গুইন থেকে আলাদা। পেস্তোর ওজন এখন ২২ দশমিক ৫ কেজি। যা তার মা-বাবার চেয়েও বেশি। লম্বায় পেস্তো প্রায় ৩ ফুট। উচ্চতার দিকে দিয়েও সে অন্যদের ছাড়িয়ে গেছে। এই বয়সেই দিনে চার বেলায় ত্রিশটির বেশি মাছ খায় পেস্তো, যেখানে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পেঙ্গুইনের দৈনিক ১৬টি মাছ হলেই ভরপেট খাওয়া হয়ে যায়। এর বাইরে মা-বাবা আদর করে যে খাবার খাওয়ায়, তা তো আছেই। বেশি খাবার খাওয়ার কারণে পেঙ্গুইন কলোনিতে অনেক বর্জ্য তৈরি হয়। সি লাইফ অ্যাকোরিয়ামে পেস্তোদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা মিকেলা স্মেল বলেন, ‘পেঙ্গুইন সাধারণত ১৫ মিনিট অন্তর মলত্যাগ করে। ফলে সি অ্যাকোরিয়ামের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সব সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়।’
পেস্তো পুরুষ পেঙ্গুইন। সচরাচর পেঙ্গুইনদের দেখে তাদের লিঙ্গ বোঝা যায় না। কারণ, তারা সেক্সুয়ালি ডাইমরফিক বা দ্বিরূপী। তবে পা থেকে খানিকটা রক্ত নিয়ে পরীক্ষার পর লিঙ্গ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। স্মেল বলছিলেন, সাধারণত পেঙ্গুইন ছানাদের লিঙ্গ সম্পর্কে জানার পর কাপ কেক কেটে উদ্যাপন করা হয়। তবে পেস্তোর ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠেছিলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান। বিশাল কেক কাটার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সি লাইফ অ্যাকোরিয়ামে থাকা ৬০টি পেঙ্গুইনের বেশির ভাগের নাম খাবারের সঙ্গে মিল রেখে রাখা হয়েছে। পেস্তোর বাবা ব্লেইক। সি লাইফের অন্যতম বয়স্ক ও উঁচু পেঙ্গুইন। তবে পেস্তোকে এখন লালন-পালন করছে টাঙ্গো ও হাডসন নামের তুলনামূলক কম বয়সী দুটি পেঙ্গুইন।
পেস্তোর শৈশব সমাপ্তির পথে। দ্রুতই সে তার বাবার কাছ থেকে সাঁতার শেখা শুরু করবে। ইতিমধ্যেই তার বাদামি পালক ঝড়তে শুরু করেছে। সাঁতার শেখার এই পর্বেই তার পালক পরিবর্তন হয়ে কালো কোট পরা ‘ভদ্রলোক’ হয়ে যাবে।
সূত্র: সিএনএন