অনেকেই ভাবেন ঘর সাজানো বিরাট খরচের কাজ। বিষয়টা কিন্তু মোটেও তা নয়। ঘর সাজাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগ্রহ। কম দামে নানা কিছু পাওয়া যায়, শুধু জানতে হয় কোথায় পাওয়া যায়। দোয়েল চত্বর, পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজারে তৈজসপত্র থেকে বসার ঘরের শোপিস অনেক কিছুই কেনা যাবে।
আগে জমিদারবাড়ি হোক বা রাজবাড়ি, বাড়ির অন্দরে খাবার ঘরে শোভা পেত তামা, কাঁসার নজরকাড়া থালাবাসন। আজও পুরান ঢাকার অলিগলিতে পূজা–পার্বণ বা বিয়ের মৌসুমে অনেকেই খুঁজে বেড়ান তামা ও কাঁসার বাসনপত্র।
বর্তমান সময়ে কাঁসার দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও কমেছে রুপার বাসনকোসনের দাম। কাঁসার মতোই রুপার তৈজসপত্র ব্যবহারেও আমাদের শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
মাটির সানকিতে শুধু পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খেয়ে বর্ষবরণ নয়, বছরের প্রতিটা দিনই খাবার টেবিলে থাকতে পারে মাটির থালাবাসন।
বসার ঘরের কোনায় অনেকেই চান একটা বড় ফুলদানি। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য উপকরণের তুলনায় মাটির ফুলদানির দাম কম। সোনালি, রুপালি বা অ্যান্টিক, নানা রঙের মাটির ফুলদানিগুলো আকারভেদে ১৫০-৫০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
আইপিএস, জেনারেটর, চার্জের ফ্যানের এই আমলে হাতপাখা প্রায় হারিয়ে যেতেই বসেছে। শুধু গরম তাড়াতে নয়, ঘর সাজাতেও দেয়ালে টাঙাতে পারেন হাতপাখা।
বিয়ে, পূজা বা ঘর সাজানোয় কুলা আর মাটির সরা বেশ জনপ্রিয় ছিল একসময়। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় রঙিন হয়ে ওঠা এই সরঞ্জামগুলো এখনো কিন্তু ঘর সাজানোর জন্য অভিনব।
বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিভিন্ন রঙের মুখোশে সেজে ওঠে। তবে মাটি বা কাঠের মুখোশে ঘরের দেয়াল সাজানোও বেশ পুরোনো রীতি।
নেটিভ আমেরিকানরা বিশ্বাস করে, ড্রিম ক্যাচার খারাপ স্বপ্নগুলোকে আটকে রাখে আর ভালো স্বপ্নগুলোকে সত্যি হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়। বিশ্বাসে থাকুক আর না থাকুক, ঘর সাজাতে রংবেরঙের পাটের দড়ি, পুঁতি, পালকের ড্রিম ক্যাচার কিন্তু দারুণ একটা অনুষঙ্গ।
চীনা বাস্তুশাস্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ উইন্ডচাইম। বাতাসে কেঁপে ওঠা উইন্ডচাইমের শ্রুতিমধুর শব্দকে প্রশান্তির ধ্বনি মনে করেন চায়নিজরা। তবে আমাদের দেশেও উইন্ডচাইমের ব্যবহার বেশ পুরোনো। বসার ঘর বা বারান্দার দেয়ালের পাশে ঝোলাতে পারেন উইন্ডচাইম। তবে খেয়াল রাখবেন, বাতাসে দুলে ওঠা উইন্ডচাইম যেন আবার কপালে আঘাত পাওয়ার কারণ না হয়।