গরমে ফ্যানের চাহিদা বাড়ে। তাই ফ্যান কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখলে ঠকবেন না। আবার যত্নে রেখে ফ্যানের স্থায়ীত্ব বাড়াতে পারবেন।
ফ্যানটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না, বুঝে কেনা উচিত। পুরোনো দিনের ফ্যানে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশি। এ ছাড়া মোটর গরম হয়ে যাওয়া, বিকট শব্দ প্রভৃতি সমস্যা তো আছেই। দেশি ব্র্যান্ডগুলো আধুনিক মেশিন ও প্রযুক্তিসম্পন্ন ফ্যান বাজারে আনছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যেগুলো দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমায়। রিচার্জেবল ও সোলার ফ্যানও বেশিক্ষণ চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে পারে।
বায়ু পরিবহন ও পরিচলন ঠিক আছে কি না, দেখা জরুরি। আজকাল ওয়ালটন, যমুনা, কনকাসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড দক্ষ টিম দিয়ে গবেষণা করে বিভিন্ন মডেলের ফ্যান বাজারে আনছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো সর্বশেষ প্রযুক্তির ফ্যান উৎপাদন। যা ঘরজুড়ে শীতল বাতাস সরবরাহ করবে। অনেক সিলিং বা স্ট্যান্ড ফ্যানে আজকাল তাই বেশি পাখাও যুক্ত করতে দেখা যায়।
কী কী নতুন ফিচার আছে, সেটি বুঝে ফ্যান কিনুন। শুধু সিলিং ফ্যান না, স্ট্যান্ড, হ্যান্ড বা চার্জার ফ্যানেও অনেক নতুন ফিচার আছে। স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম, ভয়েস কমান্ড, রিমোট কন্ট্রোল, সেন্সর সিস্টেম ও টাচ সুইচিং–পদ্ধতিও ফ্যানে আছে ।
ক্রেতার চাহিদা ও দামের সমন্বয় করে পণ্য তৈরি ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডগুলোর অন্যতম লক্ষ্য। ফ্যানের আমদানি করা যন্ত্রাংশের দাম অনেকটা বাড়লেও ব্র্যান্ডগুলো উৎপাদনের পর সেই তুলনায় খরচ কম রাখার চেষ্টা করছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ফ্যানের দাম তাই খুব বেশি বাড়েনি।
ফ্যানটি কোন জায়গার জন্য কিনবেন সেটা বুঝে মডেল নির্বাচন করা জরুরি। রান্নাঘরে যেমন সিলিং ফ্যানের বদলে ওয়ালফ্যান ভালো, খাওয়ার ঘরে আবার স্ট্যান্ড ফ্যানের চেয়ে সিলিং ফ্যান সুবিধাজনক। স্টিল ব্লেডের স্ট্যান্ড ফ্যান ধানমাড়াইয়ের কাজে বিশেষ উপযোগী। পোর্টেবল চার্জার ফ্যান হ্যান্ডব্যাগে বহন করা যায়।
আজকাল ফ্যান শুধু প্রয়োজনই মেটায় না, ঘরের শোভাবর্ধন করে। তাই নিজের অন্দরের নকশা বুঝে ফ্যান কেনা ভালো।