ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ থাকবে ৫টি উপায়ে

ঘরের বাতাসেও থাকে জীবানু। কয়েকটি উপায়ে কিছুটা হলেও বিশুদ্ধ করতে পারবেন বাতাস

আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে বছরের এ সময়ে ধুলার প্রকোপ বেড়ে যায়। বাতাসের এ দূষণ দরজা-জানালা গলে আমাদের ঘরেও ঢুকে পড়ে। যার কারণে সর্দি, কাশি ও অ্যালার্জিতে ভোগেন অনেকে। প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম এবং একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে বাড়ির ভেতরের বাতাসের ধুলা ও দূষণ আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। চলুন গভর্নমেন্ট কলেজ অব হিউম্যান সায়েন্সের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাতের কাছ থেকে সেগুলো জেনে নিই।

বায়ু বিশুদ্ধকরণ তেল

ব্যবহার করতে পারেন রিড ডিফিউসার

ডিফিউসারের মাধ্যমে দারুচিনি, ওরেগানো, রোজমেরি, থাইম, বাতাবি লেবু, লবঙ্গ ইত্যাদি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঘরকে ছত্রাকমুক্ত রাখবে। ইউক্যালিপটাস ও পুদিনাগাছ ঘরের মশা-মাছি দূর করে বাতাসে সতেজ সুবাস ছড়াবে।

ঘরে জীবাণু প্রবেশ ঠেকান

প্রতিদিন মুছে ফেলতে হবে ঘরে থাকা জিনিসগুলো

বাইরের জুতা নিয়ে ঘরে ঢুকলে ছত্রাকের বীজ, ধুলা, রেণু, বিষাক্ত উপাদান এবং মাইট (অ্যালার্জি সৃষ্টির জীবাণু) আপনার ঘরে প্রবেশ করতে পারে। জুতা খুলে ঘরে ঢুকুন। প্রতিদিনের কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে ঘরের আসবাব মুছে নিলে ধুলাবালু কম থাকবে। ঘরের ভেতরের বাতাস থেকে ধুলা ও অ্যালার্জির উপাদান দূর করার জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

গাছ

গাছ ঘরের ভ্যাপসা ভাব দূর করে দেবে

ঘরের মধ্যে জমে থাকা ভ্যাপসা ভাব, দুর্গন্ধ, আসবাবপত্র ও বিষাক্ত বায়বীয় পদার্থ শোষণ করার ক্ষমতা রাখে কিছু গাছ, যার মধ্যে অন্যতম পিস লিলি। এ ছাড়া লেডি পাম, গোল্ডেন পোথোস, বাটারফ্লাই পাম, আরিকা পাম, ঘৃতকুমারী, ব্যাম্বু পাম, মাদার ইন লস টাং, বোস্টন ফার্ন, ডেভিলস আইভি, আইভি ইত্যাদি গাছ লাগানো যেতে পারে। এগুলো আপনার ঘরের বায়ু বিশুদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

মোমবাতি জ্বালানো

মোমবাতি কিছুটা সহায়তা করবে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে

সাধারণ মোমবাতির ব্যবহার না করে বিওয়াক্স মোমবাতি ব্যবহার করতে হবে। জ্বালালে এটি থেকে একধরনের সুগন্ধ নির্গত হয়। ধূলিকণা থেকে যে অ্যালার্জি হয়, সেটা দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ঘরের বদ্ধ গন্ধও কমিয়ে আনবে।

বাতাস চলাচল

জানালা খোলা রাখুন

আর্দ্রতার কারণেও ঘরের ভেতর ভ্যাপসা গন্ধ তৈরি হয়। ঘরে নিয়মিত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে এই আর্দ্রতার পরিমাণ কমানো সম্ভব। চাইলে আউটার ফ্যান ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে রান্নাঘর বা বাথরুমের জন্য এই ফ্যান ব্যবহার করা আবশ্যক।