অন্দরসজ্জাবিদদের কাজের আনুষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি এত দিন বাংলাদেশে ছিল না। সে অভাবই দূর করার উদ্যোগ নিয়েছে এবার ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইড্যাব)।
‘আইড্যাব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ নামের জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান–নির্বিশেষে দেশের সব অন্দরসজ্জাবিদই অংশ নিতে পারবেন। গত ২৯ জুন ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সংগঠনের আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম।
শফিউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অন্দরসজ্জাবিদেরা সৃজনশীলতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের কাজের ভেতর দিয়ে এই পেশাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশের সেরা অন্দরসজ্জাবিদদের তুলে আনতে চাই।’
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইড্যাবের সদস্যসচিব সৈয়দ কামরুল আহসান বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে এলোমেলোভাবে এই পেশা এগিয়েছে একটু একটু করে। বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ মানুষ এই পেশার সঙ্গে জড়িত। এই সেক্টরে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে।
অন্দরসজ্জাবিদদের নিয়ে প্রতিযোগিতার নিয়ম
২০২৩ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৩১ জুনের মধ্যে যাঁরা কার্যকর, দৃষ্টিনন্দন সব অন্দর নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। আবাসিক, বাণিজ্যিক, হসপিটালিটি, রিটেইল, প্রোডাক্ট, কোম্পানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা অন্দরসজ্জাবিদেরা তাঁদের কাজের নমুনা জমা দিতে পারবেন।
নকশার প্রভাব ও সৃজনশীলতা থেকে শুরু করে দেশীয় ঐতিহ্যকে লালন, পরিবেশগত মূল্যবোধ ও রঙের গুণগত ব্যবহারকে বিচারের মানদণ্ড হিসেবে রাখা হয়েছে। দেশি–বিদেশি স্বনামধন্য বিভিন্ন স্থপতি ও অন্দরসজ্জাবিদকে নিয়ে জুরিবোর্ড হবে। তাদের বিচারের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হবে। প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ী পাবেন ২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী ১ লাখ ও তৃতীয় বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা। মোট পুরস্কার মূল্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোনো ফি ছাড়াই যেকোনো বাংলাদেশি ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, স্থপতি বা সরকারি লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতায় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। প্রজেক্টে কোনো রকম ওয়াটারমার্ক বা লোগো থাকা যাবে না। ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইড্যাব)।