বেডরুমের দেয়ালে ভুলেও যে ৬টি রং ব্যবহার করবেন না

বেশির ভাগ মানুষ চান, বেডরুমের রঙে তাঁর ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাক। কিন্তু তা–ই বলে কি পছন্দের যেকোনো রং দিয়েই বেডরুমের দেয়াল রাঙাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেডরুমের দেয়াল যেন চোখে আরাম দেয়। কারণ, এর সঙ্গে প্রশান্তি ও ঘুমের সম্পর্ক সরাসরি। তাই কিছু রং বেডরুমে ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করেন বিশেষজ্ঞরা। চিনে রাখুন সেসব রং।

কালো

কালো রং ঘরকে করে তোলে অন্ধকার

কালো রং বিভ্রম তৈরি করে। ঘরকে করে তোলে অন্ধকার। ঘরকে বাস্তবের চেয়ে ছোট দেখায়। অন্ধকার ঘর ঘুমের জন্য ভালো হলেও সকালে ওঠার সময় বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। অন্ধকার ঘর মনের ওপরও ফেলে নেতিবাচক প্রভাব।

নিয়ন

ঘরে উজ্জ্বল সবুজ ও ম্যাজেন্টা বা লালাভ-রক্তবেগুনির মতো নিয়ন রংগুলো এড়িয়ে চলুন

ঘরে উজ্জ্বল সবুজ ও ম্যাজেন্টা বা লালাভ-রক্তবেগুনির মতো নিয়ন রংগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ, এসব রং বেডরুমে এক অর্থে অস্থিরতা নিয়ে আসে। ঘুমের ছন্দপতন ঘটায়। এর পরিবর্তে ধূসর ও বেজের হালকা শেড ব্যবহার করতে পারেন। এসব রং উষ্ণ এবং ঘুমের সময় শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে।

হলুদ

হলুদ রং মনকে অস্থির করে তোলে

হলুদ সূর্যকিরণের রং হলেও ঘরের দেয়ালে একেবারেই বেমানান। কারণ, এই রং মনকে অস্থির করে তোলে। ফলে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। তবে হলুদ রংটি বাণিজ্যিক কার্যালয় বা অফিসের দেয়ালে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার শিশুর পড়ার ঘরও রাঙাতে পারেন হলুদে।

লাল

হলুদের মতো লালও চোখধাঁধানো রং

হলুদের মতো লালও চোখধাঁধানো রং। গাঢ় লাল বা উজ্জ্বল গোলাপি রং ঘরে অস্থির পরিবেশ তৈরি করে। লাল বা গোলাপি ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপ্ত করে বলে বিপণন সামগ্রীতেই বেশি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করার পেছনে এ ধরনের রং দারুণ কার্যকর। লাল রং ঘুম তাড়ায় এবং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে। তাই জিমের মতো জায়গায় লাল রঙের ব্যবহার হয় অহরহ। তবে বসার ঘরে হালকা গোলাপি রং ব্যবহার করা যেতে পারে।

কমলা

কমলা রং বেডরুমকে করে তোলে ক্যাটক্যাটে উজ্জ্বল

কমলা রং বেডরুমকে করে তোলে ক্যাটক্যাটে উজ্জ্বল। ফলে ঘুম টুটে যায়। তবে বসার ঘরে এনার্জিটিক রং হিসেবে এটি বেছে নিতে পারেন। পাশাপাশি পড়ার ঘরেও চলতে পারে।

গাঢ় বাদামি

গাঢ় বাদামি রং অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও বিষণ্নতার অনুভূতি এনে দেয়

হলুদ, নীল ও লাল তিনটি মৌলিক রং দিয়ে তৈরি হয় গাঢ় বাদামি রং। গাঢ় বাদামি রং অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও বিষণ্নতার অনুভূতি এনে দেয়। এতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয়ে পড়ে কষ্টকর।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট