ঠান্ডা হাওয়াটা হয়তো আপনি ঠিকই উপভোগ করছেন, কিন্তু এসির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খুব একটা খেয়াল রাখছেন না। রিডারস ডাইজেস্টের সূত্র ধরে জেনে নেওয়া যাক, এসির যত্নে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—
যতটা সম্ভব কম সময় এসি চালাবেন। বাইরের তাপমাত্রা সহনীয় থাকলে এসি বন্ধ করে জানালা-দরজা খুলে দিন। প্রাকৃতিক উপায়েই যতটা সম্ভব ঘর শীতল রাখুন। তাহলে আপনার এসি দীর্ঘদিন কার্যকর থাকবে।
ঘরে কেউ না থাকলে কখনোই এসি চালাবেন না।
এসির তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমিয়ে দেবেন না। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখুন। বাইরে থেকে ফেরার পরপরই দ্রুত শীতলতা পাওয়ার জন্য এসির তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে মন চাইতে পারে আপনার। এ রকমটা করাও ঠিক নয়।
ঘরে এসি চালানোর সময় সিলিং ফ্যানও চলুক। ঠান্ডা বাতাস ঘরজুড়ে প্রবাহিত হলে এসির তাপমাত্রা খুব একটা কমানোর প্রয়োজনও পড়বে না।
এসি চালানোর সময় ঘরের কোনো ছিদ্র বা ফাঁকা অংশ দিয়ে যাতে বাইরের বাতাস প্রবাহিত না হয় কিংবা ঘরের বাতাস বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করুন।
থার্মোস্ট্যাটের কাছে বাতি, টেলিভিশন বা এমন কোনো সামগ্রী রাখবেন না, যা থেকে উত্তাপ নির্গত হয়।
এসি থেকে বাতাস নির্গত হওয়ার জায়গাটার সামনে যাতে কোনো বাধা না থাকে, সেটিও নিশ্চিত করুন।
এসির বাইরের অংশ গাছপালার আড়ালে যাতে ঢাকা পড়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
রোদের সময় ঘরের জানালা ও বারান্দার দরজায় ভারী পর্দা দিয়ে রাখুন।
এসির সঙ্গে সংযুক্ত পাইপও দক্ষ পেশাদারের সহযোগিতায় নিয়মমাফিক পরিষ্কার করিয়ে নিতে হবে।
এসি বসানোর সময় তো বটেই, বাড়িঘরে বড়সড় সংস্কার করার সময়ও ঘরের আয়তন ও এসির কার্যক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখুন। অর্থাৎ ঘরের আয়তন অনুযায়ী এসির ক্ষমতা ঠিকঠাক আছে কি না, মাথায় রাখুন। ঘরের আয়তনের তুলনায় কম ক্ষমতার এসি ব্যবহার যেমন অনুচিত, তেমনি বেশি ক্ষমতার এসি ব্যবহারও অনুচিত। তাই ঘরে এসি লাগিয়ে নেওয়ার পরও যদি ঘরের আয়তন কমবেশি করার পরিকল্পনা করা হয়, তখন এসির কার্যক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।