অনেক বাসায় দেখা যায়, উৎসব আয়োজনে ঘর সাজানোর ধুম পড়ে গেছে, অথচ অন্দরসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ ফ্রিজটির দিকে কারও নজরই নেই, আগের মতোই ঘরের এক কোণে অবহেলায় সেটি পড়ে আছে। অথচ ফ্রিজের সুন্দর পরিপাটি উপস্থাপন আপনার অন্দরসাজে যোগ করতে পারে বাড়তি মাত্রা।
সাধারণত আমাদের দেশে তিনটি কালার টোনের ফ্রিজ বেশি দেখা যায়। লাইট গ্রে, অফ হোয়াইট এবং ব্ল্যাক। নতুন ডিজাইনের ফ্রিজগুলোতে অ্যাক্রিলিক ঘরানার রঙের ব্যবহার হয়ে থাকে। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রিজগুলো চকচকে হয়ে থাকে। এ ধরনের ফ্রিজ একটু ডেকোরেটিভ করে তুললেই ঘরের সাজ বদলে যায়।
অপর দিকে যাঁদের ফ্রিজ একটু পুরোনো, তাঁদেরগুলো সাজানোর জন্য আছে অন্য কৌশল। এই যেমন ফ্রিজে আঠাযুক্ত স্টিকার ব্যবহার করতে পারেন বলে জানালেন সৃষ্টি আর্কিটেকচারের স্থপতি তাসনিম কবির। এই স্থপতি আরও জানালেন, খুব ছোট ছোট জিনিস দিয়েই কিন্তু ঘরের ফ্রিজটিকে সাজিয়ে তোলা যায়।
বিশেষ কোনো উৎসব বা দিনে ফ্রিজের ওপর রাখতে পারেন ছোট কোনো গাছ। যদি প্রতিদিন পানি পরিষ্কার করার সময় পান, তাহলে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখাই ভালো। তা সম্ভব না হলে কৃত্রিম গাছ ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে রাখতে পারেন বাঁশের ঝুড়ি বা ট্রে। ট্রেতে কিছু ফল সাজিয়ে রাখতে পারেন।
কাল বড়দিন, এমন দিনে ফ্রিজেও থাকতে পারে বড়দিনের আমেজ। বাজারে অনেক ধরনের ফ্রিজ ম্যাগনেট পাওয়া যায়। ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ আর স্টার দিয়ে সাজাতে পারেন ফ্রিজ। স্নো বলের কিছু ম্যাগনেট আছে, যেগুলো ফ্রিজের হ্যান্ডলে ব্যবহার করতে পারেন।
এ আয়োজনে বাড়িতে আসা অতিথির মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। এ তো গেল, যাঁরা বড়দিনে ঘর সাজাবেন তাঁদের কথা।
বাসায় যদি ফ্রিজার থাকে, তাহলে তার ওপর রাখতে পারেন কফি স্টেশনের আয়োজন। কফি খেতে খেতেই জমে উঠতে পারে আড্ডা।
আলোকসজ্জা যেকোনো উৎসবে বাড়তি আবহ যোগ করে। ফ্রিজের ওপর কাগজের ছোট ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। আলো–আঁধারিতে আসবে বাড়তি দ্যোতনা। আসছে নতুন বছরে ঘরের ফ্রিজটিকে ঘিরেও হতে পারে নতুন আমেজ।
ফ্রিজ সাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন, তা যেন খুব বেশি আড়ম্বরপূর্ণ না হয়ে যায়। বেশি জিনিসের ব্যবহার ফ্রিজকে করে তোলে ঘিঞ্জি, নষ্ট করে এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য। ফ্রিজে যে অনুষঙ্গগুলো ব্যবহার করবেন, তা যেন অবশ্যই ঘরের
অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে মানানসই হয়, এ বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।
আর ফ্রিজের আশপাশে অন্য আসবাব না রাখাই ভালো।