ঘরটি কয়েক ধরনের আলো দিয়ে সাজানো যেতে পারে।
ঘরটি কয়েক ধরনের আলো দিয়ে সাজানো যেতে পারে।

বসার ঘরের অন্দরসাজে যেসব বিষয় বদলানো জরুরি

বসার ঘরে আসবাব সাজানোর সময় প্রথমেই খেয়াল রাখুন এগুলোর উচ্চতা ও মাপ। ঘর সাজাতে ফার্নিচার বা আসবাবপত্রের বিকল্প নেই। এই সময়টায় যেহেতু অতিরিক্ত গরম থাকে, তাই আসবাব যত কম ও গোছান থাকবে, ততই বাতাস খেলা করার সুযোগ পাবে।

ঈদ সামনে রেখে নতুন জামাকাপড় কেনার পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী ঘরবাড়িও নতুন করে সাজানোর চেষ্টা করেন সবাই। আর অতিথিরা এসে প্রথমে যেহেতু বসার ঘরেই বসেন, তাই ওই ঘরের ওপরই নজর দেওয়া হয় বেশি। ঘর সাজাতে ফার্নিচার বা আসবাবপত্রের বিকল্প নেই। তার মানে এই নয় যে আসবাবপত্রে ঠাসা থাকবে ঘর, বললেন স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডেপথ ওয়ার্কসের প্রধান স্থপতি রওনক উল জিসান। সাজানোর সময় ঘর যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখুন। কম আসবাবেই ছিমছামভাবে সাজিয়ে তুলুন ঘর। এই সময়টায় যেহেতু অতিরিক্ত গরম থাকে, তাই আসবাব যত কম ও গোছান থাকবে, ততই বাতাস খেলা করার সুযোগ পাবে। দেখতে চোখও আরাম পাবে আবার ঘরে পর্যাপ্ত জায়গাও থাকবে।

বসার ঘরের আসবাবের উচ্চতায় থাকতে হবে সামঞ্জস্য

বসার ঘরে আসবাব সাজানোর সময় প্রথমেই খেয়াল রাখুন এগুলোর উচ্চতা ও মাপ। বিশাল আলমারির পাশে যদি ছোট্ট একটি টেবিল রাখেন, একেবারেই মানানসই দেখাবে না। এ জন্য সব ঘরের আসবাবই যেন উচ্চতা অনুযায়ী বেশি বড়-ছোট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত আসবাব রুমকে ছোট বানিয়ে ফেলে। এখনকার ফ্ল্যাটগুলোতে এমনিতেই বসার ঘর বেশ ছোট থাকে। এ ধরনের ছোট বসার ঘরে বড় এবং ভারী কাজের আসবাব একেবারেই মানানসই নয়।

বসার ঘরের দেয়ালে স্ট্রাইপ কিংবা ফুলেল নকশার পেইন্ট করাতে পারেন। এ ছাড়া গাঢ় রঙের ওপর যেকোনো ইলিউশন হতে পারে। এতে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোরও পরিবর্তন হবে। ইলিউশন যেকোনো একটি দেয়ালেই ভালো মানায়, তবে চাইলে রঙের সমন্বয় করে দুই দিকের দেয়ালেও করতে পারেন। টিভি ঝোলানোর দেয়ালে ইলিউশন করলে ঘরকে আকর্ষণীয় লাগবে।

বসার ঘরের আবহকে পাল্টে দিতে পারে জানালার পর্দা। প্রতিটি জানালায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের উজ্জ্বল রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত গরমে সাদা বা হালকা রঙের নেটের পর্দা বসার ঘরে প্রশান্তির আমেজ আনবে। চাইলে ঈদের রাতে শিয়ার, নেট, ব্রাসো ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের জমকালো পর্দাও জানালায় টানিয়ে দিতে পারেন।

বসার ঘরের দেয়ালে থাকতে পারে ছবি

যেকোনো একটি দেয়ালে আয়না, রিদমিক রং, ইলিউশন পেইন্ট, আলোর ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার আপনার ঘরের গভীরতা বাড়াতে পারে। বাসায় বসার আর খাওয়ার ঘর যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে নিজের মতো করেই দুটির মাঝে একটু পার্টিশন দিয়ে নিতে পারেন। বুক শেলফ বা কেবিনেটও হতে পারে পার্টিশন।

বসার ঘরের আলোর ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরটি কয়েক ধরনের আলো দিয়ে সাজানো যেতে পারে। টেবিল ল্যাম্প, ফ্লোর ল্যাম্প, হ্যাঙ্গিং লাইট দিয়ে একটু চিন্তাভাবনা করে বসার ঘরটি সাজিয়ে নিন। ঘরের লাগোয়া বারান্দা বা ভেন্টিলেটর দিয়েও আলোর ব্যবস্থা করা যায়। একটা পর্যায় পর্যন্ত যত বেশি আলো, তত বেশি প্রাণবন্ত দেখাবে ঘর। ওয়াল পেইন্টিংস, পারিবারিক কোনো ছবি আপনার বসার ঘরের দেয়ালে রাখতে পারেন। এ ধরনের কোনো কিছু দেয়ালে রাখলে স্পটলাইট দিয়ে হাইলাইট করলে ভালো দেখাবে।