শুরুটা হয়েছিল বাংলা নববর্ষ দিয়ে। এই সময় বড়–ছোট বিভিন্ন বুটিক হাউসগুলোতে দেখা যেত হাতে আঁকা পণ্যের বাহার। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর ব্যাপকতা। এখন শুধু নিজেদের সংস্কৃতির উৎসবেই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজেও ব্যবহার হচ্ছে হাতে আঁকা জিনিস। শেষ ৩–৪ বছর ধরেই ট্রাংক, চশমা বা ট্রের মতো নির্দিষ্ট কিছু হাতে আঁকা পণ্যের কারুকাজ মানুষের নজর কেড়েছিল। তবে ২০১৯ সালে এসে সেটা ছড়িয়েছে আরও নানা কিছুতে। নানা ধরনের পণ্যে এমনকি পোশাকেও বেড়েছে হাতে আঁকা ছবির ব্যবহার। তাই বছরজুড়েই নানা মাধ্যমে হাতে আঁকা পণ্যের চাহিদা ছিল। বাঁশ, কাঠ, কাচ, টিন, স্টিলের তৈরি নানা অনুষঙ্গে হাতে আঁকা নকশা যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা। আর এই ভাবনার মধ্যে বেশি চলেছে রিকশাচিত্রের নকশা।
হাতে আঁকা স্টিলের ট্রাংক নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়া কিংবা বিয়ের উপহার পাঠানোতে ট্র্যাংকের ব্যবহার তো জনপ্রিয় ছিল বেশ কয়েক বছর। এই বছর বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়েহলুদে বর-কনের চোখে ও পায়ে হাতে আঁকা চশমা ও জুতা রীতিমতো ট্রেন্ডের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এ ছাড়া বিয়েবাড়িতেই অন্যরা পরেছেন নকশা করা রোদচশমার ফ্রেম। বছরের শেষ দিকে বিভিন্ন অনলাইন পেজে দেখা গেছে হাতে আঁকা নকশার চিরুনি, টুথ ব্রাশ। পর্দা, ব্লাউজ, গ্লাস, কাপড় রাখার ঝুড়ি, মালা, চেয়ার, টেবিল, টিপ, চুড়ি, মালাও ক্যানভাস হতে বাদ রাখেনি। বাদ যায়নি কেটলি, গ্লাস এমনকি ইন্ডোরপ্ল্যান্টসও। একরঙা সবকিছুকেই তুড়ি মেরে পেছনে ফেলে টেবিল, চেয়ারের পায়ায়, টুলে, ট্রেতেও এগিয়ে চলেছে এই চলতি ধারা। ইদানীং একরঙা নোটবুক, ডায়েরি ও মানিব্যাগকে রঙিলা নকশায় নতুন রূপ দেওয়া হচ্ছে, নয়তো লেখা হচ্ছে নানা ধরনের সিনেমার নাম বা সংলাপ।
২০১৯ সালে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী লোকজ ও আধুনিক দুই ধরনের হাতে আঁকা পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের সমান আকর্ষণ ছিল। কোনো কিছুই বাদ পড়েনি এই তালিকা থেকে।