নান্দনিক নকশার ফ্রিজ

নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
নান্দনিক ডিজাইনের ফ্রিজ পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন হলো নতুন সংসার শুরু করেছেন হানিফ মাহমুদ ও জান্নাতুল মাওয়া। নিজেদের সংসারের জন্য অনেক কিছু কিনতে হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে ঘর সাজানোর উপকরণও। দুজনেই চাকরিজীবী হওয়ার কারণে সংসারের শুরুতেই ফ্রিজ কিনতে হচ্ছে। ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেটে নতুন একটি ফ্রিজ কিনতে এসেছেন তাঁরা। সিঙ্গারের শোরুমেই কথা হলো জান্নাতুল মাওয়ার সঙ্গে। ‘ফ্রিজ শুধু খাবারদাবার সংরক্ষণ বা ঠান্ডা করার একটি যন্ত্র হিসেবেই ঘরে রাখতে চাই না। আমি এমন একটি ফ্রিজ কিনতে চাই, তা যেন ঘরের সৌন্দর্যও বাড়ায়।’

ঘর সাজাতে ফ্রিজ

বর্তমান সময়ে সংসারের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ ফ্রিজ। বাসায় ফ্রিজ থাকলে প্রতিদিনের বাজার করার ঝামেলা থেকে মুক্তিসহ বিভিন্ন রকম সুবিধা পাওয়া যায়। এখন খাবারকে সতেজ বা ভালো রাখার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফ্রিজের ভূমিকা রয়েছে। ঢাকার বাড্ডার মায়ের দোয়া ইলেকট্রনিকসের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, ‘ঘরের দেয়ালের রং, আসবাব কিংবা ঘরের আকারের ওপর নির্ভর করে অনেকে ফ্রিজ কেনেন। ঘরের নান্দনিকতা আরও একটু বাড়িয়ে নিতে বর্তমানে ফ্রিজও ভূমিকা রাখছে।’ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গারের ভিন্ন রং এবং নকশার রেফ্রিজারেটর। রং ও ভিন্নতা ছাড়াও এগুলোতে রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। রেফ্রিজারেটরগুলোতে বৈচিত্র্যময় ফিচার যুক্ত করেছে সিঙ্গার।

নান্দনিক ডিজাইন

নান্দনিক বৈচিত্র্যে সিঙ্গারের ফ্রিজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। কালো, রূপালি, সোনালি, লাল ও নীল—এই পাঁচটি রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গারের রেফ্রিজারেটর। এ ছাড়া থাকছে ফুলেল নকশাসহ কিছু ডিজাইন। ফ্রিজে ব্যবহার করা হয়েছে এলিগ্যান্ট টেম্পারড গ্লাস। অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে টেম্পার্ড গ্লাস ট্রে, এলইডি লাইট, টোটাল নো ফ্রস্ট প্রযুক্তি (২০ দিনের বেশি খাবার সতেজ থাকে)। রয়েছে গ্লাস, ভিসিএম, স্টিল দরজার ভিন্নতা। নো ফ্রস্ট, সাইড-বাই-সাইড, ডিরেক্ট কুল, ডিপ রেফ্রিজারেটরের ধরন।

দরদাম

সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো ফ্রিজ কেনার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সুবিধা ও মূল্যছাড়ের ঘোষণা করে। বিভিন্ন ফ্রিজ নির্মাতা দোকান ঘুরে ফ্রিজের দরদাম তুলে ধরা হলো। সিঙ্গারের এই রেফ্রিজারেটরগুলো ৪৬ লিটার থেকে ৫১৭ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। সিঙ্গারের ৪৭ লিটারের মিনি ফ্রিজের দাম ১১ হাজার ৮৬০ টাকা, ৯৫ লিটারের ফ্রিজ ১৫ হাজার ৫৬ টাকা, ১৩৮ লিটার ১৮ হাজার ৭০৮ টাকা; ১৩৮ লিটার ডিপ ফ্রিজ ২১ হাজার ৪৫৭ টাকা, ১৯৮ লিটার ২৪ হাজার ১৮৭ টাকা, ২০৮ লিটারের দাম ২৯ হাজার ২০৮ টাকা, ২৪৮ লিটারের দাম ৩১ হাজার ৯৪৭ টাকা। আয়তনের ওপর সিঙ্গারের ফ্রিজের দাম নির্ভর করে।

স্যামসাংয়ের বেশ কয়েকটি মডেলের ফ্রিজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। স্যামসাংয়ের বিভিন্ন আকারের ফ্রিজ বাজারে রয়েছে। দামেরও ভিন্নতা রয়েছে। ট্রান্সটেকের ১০০ লিটার থেকে বিভিন্ন আয়তনের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। এর দাম ১৯ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে। ট্রান্সটেক ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ২৭টি ব্যাংকে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে ১২ মাসের কিস্তিতে পাওয়া যাবে। দেশের বাজারে রেফ্রিজারেটর ও ফিজারের চাহিদা বড় একটা অংশ পূরণ করছে ওয়ালটন। বর্তমানে ফ্রস্ট (ডিরেক্ট কুল), নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ডিপ ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে দেশীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বৈশিষ্ট্য হলো আকর্ষণীয় ডিজাইন, বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি–ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, যা ফ্রিজের ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালুর প্রবেশ রোধ এবং খাবার সতেজ ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখে। ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে শুরু। বর্তমান বাজারে আরএফএলের ভিশন ও ভিগো ব্র্যান্ডের বেশ কিছু মডেলের রেফ্রিজারেটর পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে ৫০ লিটার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৫৬ লিটারের ফ্রিজ রয়েছে ভিশন ও ভিগো ব্র্যান্ডের। দাম পড়বে ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বাজারে ওয়ার্লপুল, হিটাচি, এলজি, তোশিবা, সনি-র‌্যাংগস, শার্প, মিনিস্টার, কনকা, হাইকো, যমুনাসহ বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে।

কোথায় পাবেন

রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানসহ স্টেডিয়াম মার্কেট, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড, মিরপুর রোড, পান্থপথসহ জেলা শহরগুলোতে ফ্রিজ পাওয়া যায়।