ছোট ছোট উপাদানে বদলে ফেলুন অন্দর

কেমন হয় যদি ঘরের পুরোনো সাজসজ্জায় আনা যায় নতুনত্ব? কিছুদিন পরপর ঘরের এটা সেটা বদলে ঘরটাকে নতুনভাবে দেখতে কার না ভালো লাগে! নতুনভাবে ঘর সাজানোর সেরকম কিছু আইডিয়া আর উপকরণ নিয়েই এই আয়োজন।
একটি পাখির বাসা, তালপাতা, শামুক ও ঝিনুকের তৈরি শোপিস, পেইন্টিং, তাজা ফুলসহ ফুলদানি বা একটি গাছের টবে অনেকটাই বদলে যাবে অন্দরের চেহারা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
শীতপ্রধান দেশের মানুষের বেশি অবসাদে ভোগার অন্যতম কারণ অপর্যাপ্ত রোদ। সূর্যের আলো কেবল শরীরের জন্য নয়, মনের জন্যও খুব জরুরি। বসার ঘরে পর্যাপ্ত রোদ ঢোকানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন এরকম হালকা রঙের পর্দা। কুশনে থাকতে পারে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী হাতের কাজের ছোঁয়া
ঘর সাজাতে সব সময় দামি জমকালো জিনিস লাগবে, তেমন কিন্তু নয়। ছিমছাম আসবাব আর হালকা উপকরণেও অন্দর হয়ে উঠতে পারে অনন্য
ঘরের অতিরিক্ত আসবাব সরিয়ে নিন। ‘মিনিমালিস্টিক অ্যাপ্রোচ’ রাখুন। যাতে করে ঘরের সবখানে ঘুরতে পারে চোখ, দৃষ্টি আটকে না যায়। নতুন করে রং করে দেয়ালে আলপনাও এঁকে নিতে পারেন। ঝুলিয়ে দিতে পারেন চিত্রশিল্প
মনের ও ঘরের সতেজতা ও প্রফুল্লতা ধরে রাখতে বেশি বেশি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন। ট্রে, প্লেট, শোপিস—এরকম ছোট ছোট জিনিস তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক উপাদানে। ফার্নিচার হতে পারে কাঠ, বাঁশ, বেত, পাটকাঠির বোর্ড, নারিকেলের দড়ি কিংবা হোগলা পাতায় তৈরি। মেঝেতে শীতলপাটি অথবা শতরঞ্জি তো আমাদের বহু পুরোনো ঐতিহ্য। বিছানায় ফোম বা ম্যাট্রেসের চেয়ে তুলা আর নারিকেলের ছোবড়ার জাজিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একইভাবে শিমুল তুলার বালিশের তুলনাই চলে না
ঘরে সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক আলো-বাতাস নিশ্চিত করুন। যতটা সম্ভব বাড়ির খোলা অংশগুলোর ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে