ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা দীর্ঘদিন খাবার নিয়ে এক অদ্ভুত অসুখে ভুগেছেন। সেটা হল ইটিং ডিজঅর্ডার। মানসিক অশান্তির কারনে তিনি বেশি খেয়ে ফেলতেন। খাবারে তাঁর অনীহা ছিল না, বরং বেশি আগ্রহ ছিল! খাওয়ার পর যখন বুঝতেন, বেশি হয়ে গেছে, তখন আত্মগ্লানিতে ভুগতেন। আর দ্রুত বাথরুমে ঢুকে বমি করে সেসব খাবার উগরে দিতেন। প্রিন্সেস ডায়নার এই ইটিং ডিজঅর্ডারের ধরনটিকে বলা হয় বুলিমিয়া নার্ভোসা। মিডিয়াগুলো ডায়ানার এই তথ্য জানলেও দীর্ঘদিন তাঁরা সেভাবে সেটা প্রকাশ করেনি। ১৯৯২ সালে প্রিন্সেস ডায়নার জীবনী প্রকাশ করেন লেখক অ্যান্ড্রু মর্টন। তিনিই প্রথম বিশদে রাজকুমারীর এই রোগ সম্বন্ধে জানান।
বাগদানের এক সপ্তাহ পরে ডায়ানা বুঝতে পারেন, তিনি ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছেন। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তাঁর প্রায় এক দশক লেগেছিল। ডায়নার বিয়ের পোশাকের ডিজাইনার এলিজাবেথ এমানুয়েল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যখন ডায়ানার বিয়ের পোশাকের জন্য কোমর মেপেছিলাম, তখন সেটা ছিলো প্রায় ২৭। তবে ১৯৮১ সালের জুলাই নাগাদ ২৩–এ নেমে আসে সেই কোমরের মাপ!’
কামিলা পার্কারের সঙ্গে স্বামী প্রিন্স চার্লসের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে মানসিকভাবে এলোমেলো হয়ে পড়েন ডায়ানা। যা তাঁর খাবারের অভ্যাসের ওপর প্রভাব ফেলতে থাকে।