কাওসার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুসংবাদ শুনে শোকাহত হয়েছেন বহু পাঠক। ‘ছুটির দিনে’র ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। এখানে তারই কয়েকটি।
নিখাদ সাহিত্যরসে ভরপুর আপনার লেখা বহু বছর ধরে আমাকে উদ্দীপ্ত করেছে, প্রেরণা জুগিয়েছে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এখন বুঝি, সে বাধা তৈরি হতো আমার নিজের মনে, অবচেতনে। অজান্তে আপনি বহুদূরে বসে শক্তি জুগিয়েছেন আপনার লেখার মাধ্যমে।—মাহবুবুর রহমান
অনেক মিস করব আপনার রাশিফল পড়া আর শনিবার এলে খুঁজতে থাকব ‘ছুটির দিনে’র পাতা। আপনার লেখা পড়ে আমি গতি পেতাম, যা অন্য কারও কাছ থেকে পাইনি। আপনার লেখা আমাকে উৎসাহিত করত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ছুটির দিনের পাতায় আপনার লেখা পড়ার।—রওশন আরা নিপা
প্রথম আলোর সঙ্গে গুনে গুনে ১২ বছরের সম্পর্ক। এই ১২ বছরে যত শনিবার এসেছে, যত ‘ছুটির দিনে’ হাতে এসেছে, ‘আপনার রাশিফল’ পড়া মিস হয়নি। রাশি বিশ্বাসী না হলেও এই ফিচার দেখা আমার ১২ বছরের অভ্যাস, আমার আগ্রহ, আমার ভালো লাগা, আমার স্মৃতি, আমার শৈশব। আপনার রাশিফল কিংবা কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে ছাড়া ছুটির দিনে ভাবতে পারছি না!—সামিয়া শতাব্দী
কোনো দিন আপনাকে দেখিনি, কোনো দিন কথা হয়নি। তবু মনে হয়েছে কত কাছের মানুষ। শনিবার সকাল মানেই তো ‘প্রিয় সিংহ’ বলে আপনার ডাক। এই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া ভীষণ কঠিন হয়ে যাবে!—ঋদ্ধ অনিন্দ্য
কিছুদিন থেকেই ‘ছুটির দিনে’ রাশিফল আর দেখতে পাই না। অনুমান করছিলাম তিনি অসুস্থ। ভাবতাম সামনের সংখ্যায় হয়তো পাব। কিন্তু এমনটা হবে ভাবিনি। কাছ থেকে কখনো দেখিনি, তবে খুব কাছের মানুষ মনে হতো।—নাজমুন নাহার
প্রতি শনিবার আমার ‘ছুটির দিনে’তে ‘তুলারাশি’ পড়া যেন বাধ্যতামূলক। কদিন আগে দেখেছি তিনি অসুস্থ, আজ তিনি নেই। এখন কে আর মায়া দিয়ে লিখবে ‘প্রিয় তুলা, দৃঢ় মনোবল নিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন।’ এটুকু কথাও তো আমাকে অনেক উদ্বুদ্ধ করত!—শাহনুমা নুজহাত
যে দিনই ‘ছুটির দিনে’ হাতে নিয়ে দেখতাম অনিবার্য কারণবশত আজ রাশিফল ছাপা হয়নি, তখনই মনটা এত খারাপ লাগত। আর এখন এই অনন্ত মন খারাপের এতগুলো দিন কীভাবে কাটাব!—শাওন্তি নিদ্রা
শনিবার সকাল হলেই দৌড়ে গিয়ে পেপার খুঁজে ‘ছুটির দিনে’ নিতাম আর রাশিটা পড়তাম। একটা অদ্ভুত বিশ্বাস কাজ করত। আর পারব না পড়তে। সব প্রিয় মানুষগুলো এভাবেই চলে যায়।—যাবিন কান্তা
প্রতি শনিবার যার লেখা অনেক দিন ধরেই উপভোগ করেছি। ‘ছুটির দিনে’ তাঁর লেখার জন্য আর অপেক্ষা করা হবে না, তবে মনের ভুলে হয়তো আবারও তাঁর লেখার জন্য ছুটির দিনে নিয়ে নাড়াচাড়া করব এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আবারও রেখে দেব। খুব মিস করব আপনাকে।—কালীচরণ
প্রথম আলোর ‘ছুটির দিনে’র রাশিফল পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। প্রথমেই কন্যা রাশিতে চলে যেতাম। তারপর অন্য রাশিগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। খুব ভালো লাগত। রাশি জানার জন্য নয়, কাব্যিক কথার জন্য পড়তাম। পরপারে ভালো থাকুন।—প্রদীপ সরকার
শনিবার সকালে বাসায় পত্রিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে কাড়াকাড়ি পড়ে যেত, কার আগে কে ‘ছুটির দিনে’র রাশিফল পড়ে ফেলতে পারে। তা আর করা হবে না কখনো।—আলপনা বড়ুয়া্
দেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল। দেখা আর হবে না, মনে গেঁথে থাকবে আপনার কথাগুলো। কষ্ট লাগার কথাটা মনেই রাখলাম।—আহসান হাবীব
গ্রন্থনা: আন্ নাসের নাবিল